রাতে দর্জি, সকালে অটোচালক। এই ভাবেই চলছে বাপির রোজনামাচা। বাপী বলেন, "মানব সেবাই যদিই মানুষের ব্রত হয়, তবে ভগবান ঠিক জুটিয়ে দেবে দু'মুঠো অন্ন। আমারও এই ভাবে চলে যাচ্ছে, এতে মানুষ খুশি হয়ে যা দেয় তাতেই হয়ে যায়। আমাকে মানুষ খুব ভালবাসে। যে রোগীকে হাসপাতালে আনছি, সে সুস্থ হলেই তবেই কষ্ট সার্থক।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ তিলে তিলে জমানো টাকা গচ্ছিত রাখত মানুষ, সেই টাকা জালিয়াতির অভিযোগ
জয়নগরের দক্ষিন বারাসাতের বড় কামারিয়ার ছেলে রহমতুল্লা মোল্লা। গ্রামের লোকজনের কাছে তাঁর পরিচিতি বাপি বলেই। বাপির ফোন নম্বর জয়নগর থেকে দক্ষিন বারাসাত সবাই জানে। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে ডাক পড়ে বাপির। শুধু হাসপাতালে রোগী এনে দিয়ে দায়িত্ব শেষ নয় বাপির। রোগিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চিকিৎসকের কাছেও নিয়েও যান বাপি।
বাপি বলেন, লকডাউনের সময় দর্জির কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর অটো কিনে রোজগারের চেষ্টা করি। কিন্তু দেখি গ্রামের মানুষজনের রোগে বাড়াবাড়ি হয়। অ্যাম্বুল্যান্সকে ডাকলেও গ্রামের ভিতরে বলে যেতে চায় না। এই অবস্থা একদিন দেখেই অটোতে করে মরণাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এতে তো মানুষের জীবন বাঁচবে। রোগীর পরিবার যে জায়গায় বলে সেই জায়গাতেই পৌঁছে দিই তাঁকে।
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের ফ্যাকাল্টি ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, বাপি রোগীকে অটো করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার পরেও কোনও পয়সা নেয় না রোগীর পরিবারের কাছ থেকে। উল্টে বলে, স্যার এই রোগীকে বাঁচাতে হবেই। ওর কাজের তারিফ করতে হয়।
সুমন সাহা





