ঘটনার সূত্রপাত মন্দিরবাজারের নিশাপুর পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। আইএসএফ-র অভিযোগ, নিশাপুর পঞ্চায়েতে তাঁদের প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথ আটকানো হয়। প্রথমে সকলকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা শুধু প্রতিরোধ করেছেন বলে, নওশাদ সিদ্দিকির দলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন: আইএসএফ প্রার্থীকে মনোনয়নে বাধা, অভিযুক্তের দাবি, ‘একসঙ্গেই তৃণমূল করি আমরা!’
দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই তৃণমূলকর্মীর আঘাত গুরুতর। তাঁদের স্থানীয় নাইয়ারহাট ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাথা ও মুখে আঘাত আছে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও চারিদক থম মেরে আছে।
এদিকে এই সংঘর্ষের যাবতীয় দায় আইএসএফের উপর চাপিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, আইএসএফ-ই প্রথম আক্রমণ করে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সমীর হালদার হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। আইএসএফের বিরুদ্ধে থানায় হামলা চালানোর অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত। সেখানে একের পর এক আইএসএফ-র বিরুদ্ধে শাসকদল হামলার অভিযোগ তোলায় কিছুটা বিস্মিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের প্রশ্ন, তবে কি দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশে নওশাদ সিদ্দিকির দলের মোকাবিলা করে উঠতে পারছে না শাসকদল?
নবাব মল্লিক