পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সরদারকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এদিকে থানার নথিতে ১৪ এপ্রিল গ্রেফতার দেখানও হয়৷ চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছিল সাহেব সরদারের নামে৷ পুলিশের দাবি, থানার লকআপেই অসুস্থ বোধ করেন সুরজিৎ ওরফে সাহেব। প্রথমে তাঁকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই সাহেব সরদারের মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনায় মৃতের পরিবার পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শিশু সুরক্ষা ও মানব পাচার ঠেকাতে চা বলয়ে বিশেষ উদ্যোগ
পুলিশ হেফাজতে সাহেব সরদারের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসানের নেতৃত্বে সিটে আছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (অ্যাডমিন) ও ডিএসপি (ডিইবি)। এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পরিবারের দাবি অনুযায়ী থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। ময়নাতদন্তেরও ভিডিও রেকর্ডিংও করে রাখা আছে। এদিকে মৃতের পরিবারের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। ওই সংগঠনের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক আলতাফ আহমেদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যে পুলিশকর্মীরা জড়িত আছে তাদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে।
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বারুইপুরে প্রতিবাদ মিছিল করে এপিডিআর। তাদের এই প্রতিবাদে সামিল হন মৃতের বাড়ির লোকজনও। বারুইপুর ষ্টেশন থেকে বারুইপুর এসপি অফিস পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিলের পর বারুইপুরের পুলিশ সুপারের কাছে তাঁরা একটি ডেপুটেশন দেন।
অর্পণ মণ্ডল