আরও পড়ুন: নিজের গড়েই জোটে জট! মুর্শিদাবাদে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা বামেদের, শুনে কী বললেন অধীর?
আগামী ১৫ জুন সমুদ্রের মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তার পরই ইলিশ ধরার জন্য দলবেঁধে তাঁরা সমুদ্রে পাড়ি দেবেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীরা। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মাছ ধরার ট্রলার মেরামত, জাল সারাই সহ ইত্যাদি শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা। এদিকে সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীরা যাতে দুর্ঘটনার মুখে না পড়েন তার জন্য ঠিক এই সময়েই তাঁদের নিরাপত্তার পাঠ দিচ্ছেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা৷
advertisement
বর্ষাকালে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। এর ফলে বহু মৎস্যজীবীর মৃত্যুও হয়। অনেক ট্রলারে জিপিআরএস ডিভাইস না থাকায় তাঁদের দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পারেন না উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মীরা। ফলে বাঁচানোর চেষ্টা করা সম্ভব হয় না। তাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে। এছাড়াও অনেক সময় আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে বুঝতে না পেরে ভারতের সীমানা পেরিয়ে ভুল করে বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকে পড়েন বহু মৎস্যজীবী। ফলে সে দেশের পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁদের। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে মৎস্যজীবীদের ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রতিটি ট্রলারে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইফ জ্যাকেট ও জিপিআরএস ডিভাইসের বন্দোবস্ত রাখা হয়। এতে গভীর সমুদ্রে কোনওরকম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে খুব দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। বর্তমান নিয়মে এই বিষয়গুলির না মানলে কোন ট্রলারকে সমুদ্রে যেতে দেওয়া হবে না বলে ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি সরকারি নিয়ম মেনে মাছ ধরার জালের ফাঁস ৯০ মিলিমিটার হতে হবে সে কথা ও প্রশিক্ষণ শিবিরে মৎস্যজীবীদের জানানো হয়। সেইসঙ্গে ২৩ সেন্টিমিটারের ছোট কোনও মাছ ধরা যাবে না বলেও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দিয়েছেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা।
সুমন সাহা