বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীর নেতৃত্বে বন দফতরের একটি দল সাদা পোশাকে অভিযান চালায়। দলটির কাছে আগে থেকেই খবর ছিল বারুইপুর-জয়নগর রোড দিয়ে স্কুটিতে করে কচ্ছপ পাচার হবে। সেই মত বন দফতরের দলটি ওত পেতে অপেক্ষা করতে থাকে। আর তাতেই পাওয়া যায় সাফল্য। গণেশ নস্কর ও সমরেশ নস্কর নামে দুই পাচারকারী বারুইপুর-জয়নগর রোডের সূর্যপুরে পৌঁছতেই তাদেরকে ঘিরে ধরেন বনকর্মীরা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৯৭ টি ফ্ল্যাপসেল ও একটি সফ্টসেল প্রজাতির কচ্ছপ। জানা গিয়েছে ধৃতদের বাড়ি মগরাহাট এলাকায়। ওইদিন গভীর রাতেই দু'জনকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানায় আনা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি স্কুটি।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলাতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বিবেকানন্দর জন্মদিন ও জাতীয় যুব দিবস
অন্যদিকে কুলতলিতে হরিণের চামড়া সহ গ্রেফতার হয় দু'জন। জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে অবৈধভাবে একটি হরিণ ধরে ওই ধৃতরা। তাকে এলাকায় নিয়ে এসে মেরে চড়া দামে মাংস বিক্রি করে। গোপন সূত্রে খবর পায় কুলতলি থানার পুলিশ। এরপরই তারা হানা দিয়ে কুলতলির কৈখালী এলাকা থেকে সুন্দর নস্কর ও কানাই দাস নামে দু'জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মৃত হরিণটির চামড়া।
পরপর এই দুই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে বন্যপ্রাণীদের নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এখনও অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলিশ-প্রশাসন দ্রুত তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে এটা ভালো বিষয়। তবে তাদের আরও তৎপর হতে হবে, যাতে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
সুমন সাহা