ভগবতপুর কুমির প্রকল্পের কাছে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে এসে হাজির হন নরওয়ে ও কানাডার একদল পর্যটক। মোট ২১ জনের দল। এই পর্যটক দলের কয়েকজন সদস্য বন্যপ্রাণী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। বন দফতর কুমির বাঁচাতে সুন্দরবনবাসীকে সচেতন করার যে কর্মসূচি নিয়েছেন তাতে অংশ নিয়ে এই পর্যটকরা মূল্যবান মতামত রাখেন। উল্লেখ্য কুমির সংরক্ষণের উদ্যেশে ১৯৭৬ সালে সুন্দরবনে শুরু হয় কুমির প্রকল্প।
advertisement
আরও পড়ুন: নদীর বুকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! সুন্দরবনে রাজ্য প্রশাসনের চমক
সেই থেকে কুমির সংরক্ষণ ও তাদের নিয়ে গবেষণার কাজ করে আসছে বন দফতরের বিশেষ সেল। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই কুমিররা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। ফলে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। অনেক সময় ভয় পেয়ে গ্রামবাসীরা পিটিয়ে মারার চেষ্টা করছে কুমিরকে। সেই আতঙ্কের পরিবেশ কাটাতে এবং কুমিরদের বাঁচাতেই বিশেষ সচেতনতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বন বিভাগ। বন দফতরের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, লোকালয়ে কুমির এলে তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। কুমিরকে না মেরে বন দফতরকে খবর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর এবার সেই কর্মসূচিতে বিদেশি পর্যটকরা যোগ দেওয়ায় তা অন্য মাত্রা পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নবাব মল্লিক