পরিকাঠামোগত একাধিক সমস্যা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই জেটিঘাটে। তারই মধ্যে ভোর ৫ টা থেকে শুরু হয় এই ঘাটে লঞ্চ চলাচল। চলে রাত ৮ টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন জেটিঘাটটি ব্যবহার করে হয় পূর্ব মেদিনীপুর না হলে হাওড়ায় পৌঁছে যান। এখান দিয়ে এত মানুষ যাতায়াত করলেও এই জেটিঘাটে কোনও শৌচালয় নেই। অবশ্যই নেই-র তালিকাটা অনেকটাই লম্বা। পানীয় জল, যাত্রী নিবাসও নেই। ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকে। তার উপর জেটিঘাটটি পাকা নয়। কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে কোনোরকমে লঞ্চে ওঠানামা করতে বাধ্য হন যাত্রীরা। বয়স্ক ও শিশুরা এরফলে খুবই সমস্যায় পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো সোনার গয়নাকে চকচকে করে দেওয়ার নামে হাতসাফাই, অবশেষে পুলিশের খপ্পরে ২ ছিনতাইবাজ
এছাড়াও নুরপুর জেটিঘাটের সামনের রাস্তার অবস্থাও খুবই খারাপ। একাধিকবার সারানোর কথা বললেও কোনও কাজ হয়নি। আমফানে এই জেটিঘাটের বেশিরভাগ অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু তা এখনও সারানো হয়নি বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।
এই নিয়ে নুরপুর গাদিয়াড়া হুগলি জলপথ পরিবহণের গাদিয়াড়া ইনচার্জ উত্তম রায়চৌধুরী বলেন, জেটিঘাটের বেহাল দশা নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আজও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে সমস্যা ক্রমশাই বাড়ছে। কিছুটা দূরে তৈরি করা হচ্ছে নতুন জেটিঘাট। সেটি তৈরির কাজ শেষ হলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে তিনি দাবি করেন।
নবাব মল্লিক