ইতিমধ্যেই বারুইপুরে শোরগোল ফেলে দিয়েছে সঞ্জয় দত্তের চা। বারুইপুরের মাদারহাট পপুলার একাডেমির ছাত্র সঞ্জয় দত্ত। এখন দিনরাত সঞ্জয় দত্তের দোকানে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। সঞ্জয় দত্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্র পরিবারের হাল ধরতে বাবার চায়ের দোকানে সাহায্য করে ছোট্ট সঞ্জয়। পরিবারের হাল ধরতে নিজেই এখন দোকানে বসে। ছোট্ট সঞ্জয় এখন ২৫ রকম চা তৈরি করে।
advertisement
আরও পড়ুন - নজর এড়িয়ে বাড়ির শৌচালয়ে ঢুকে পড়েছিল সে! অচেনা শব্দে ভয়ে কাঁটা
আরও পড়ুন - Rishabh Pant Health Update: দেবদূতের মতো সেদিন বাঁচিয়েছিলেন, দেখতে গেলেন পন্থকে, সামনে এল লেটেস্ট ফটো
কি চা আপনি কি চা খাবেন সেটা বলুন! সঞ্জয়ের দোকানে পাওয়া যায় লঙ্কার চা, লিচু চা, বিভিন্ন রকম মসলার চা, কাজুবাদামের চা, কিসমিসের চা , আনারসে চা, ছাড়াও বিরিয়ানির চা ও স্ট্রবেরি চা এখন জনপ্রিয়। এলাকার মানুষজন এখন সঞ্জয়ের দোকান বলতেই অজ্ঞান। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত সঞ্জয়ের চায়ের দোকানে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে রকমারি চা খেতে ভিড় জমায় এলাকার মানুষজন। ভিন্ন স্বাদের চা চেকে দেখতে হাজির অনেকই। সঞ্জয় দত্ত জানান, পরিবারের হাল ধরতে দোকানে বসা, দোকানে বসার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও আমি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পরিবারের আর্থিক বদল আনতে দোকানের হাল ধরেছি। অভিনব এই চায়ের ভাবনা আমার আগে থেকেই ছিল। সাধারণ মানুষ যাতে ভিন্ন স্বাদের চায়ের স্বাদ অনুভব করতে পারে।সেই জন্য আমি ছোট্ট একটি প্রয়াস করি। সাধারণ মানুষের আমার চায়ের স্বাদ গ্রহণ করতে সকাল থেকেই আমার দোকানে ভিড় জমায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ভিন্ন স্বাদের চায় স্বাদ গ্রহণ করতে আমরা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় সঞ্জয়ের চায়ের দোকানে আসর সাজাই। বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে সকলেই এখন সঞ্জয় চা বলতেই এক ডাকে চেনে। শীতের সময় কমলালেবুর চা এখন জনপ্রিয়। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সময় কাটাতে এখন সঞ্জয়ের চায়ের জুরি মেলা ভার। ইতিমধ্যেই গোটা বারুইপুরের শোরগোল ফেলে দিয়েছে সঞ্জয়ের ২৫ রকমের চা।
Suman Saha