ইলিশের ভরা মরসুমে বারবার এমন ঘটনা ঘটায় মাছ ব্যাবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই মুহুর্তে কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার সহ একাধিক ফিশিং হারবার ও মাছের আড়তে ইলিশের দেখা নেই বললেই চলে। যেটুকু ইলিশ দেখা যাচ্ছে তা পুরানো ফ্রিজিং করা ইলিশ। কিন্তু সেই ইলিশ দিয়ে বাজারে কতক্ষণ চাহিদা মেটানো যাবে তা নিয়ে চিন্তায় মাছ ব্যাবসায়ীরা। বাজারে বড় ইলিশের কেজি এই মুহূর্তে ২২০০ টাকা ছুঁয়েছে। বেশি দাম দিয়েও অনেকসময় ক্রেতারা ইলিশ পাচ্ছেন না। সামনে রান্নাপুজো থাকায় মাছের চাহিদা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। এই মুহুর্তে বাজারে ইলিশের চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন - South 24 Parganas News: চরম দারিদ্র্য! স্ত্রী-র সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন, নিঃশব্দে এল বাঘ, তারপর...
একাধিকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটায় জালে পর্যাপ্ত ইলিশ না মেলায় দামে এই প্রভাব পড়েছে বলে দাবি মৎস্যজীবীদের। যদিও পিছনের সমস্ত কিছু ভুলে বাজারে ইলিশের চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়ার জন্য আবারও সমুদ্রে যওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তারা। তবে এবার পূবালি হাওয়া না থাকায় ইলিশ ধরাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে মৎস্যজীবীদের কাছে।
আরও পড়ুন - ‘‘গায়ের জোরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নয়’’- জঙ্গলমহলের দুই জেলাকে বার্তা অভিষেকের
এ নিয়ে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান ‘‘বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার কারণে প্রভাব পড়েছে ট্রলার মালিক, শ্রমিক এবং মৎস্যজীবীদের মধ্যে। যার বড় প্রভাব পড়েছে দামে। বাজারে এখন নতুন ইলিশ নেই বললেই চলে, সবই ফ্রিজিং ইলিশ সেকারণে দাম বেড়েছে অনেকটাই। নতুন করে আবার ইলিশ ধরতে যাবে মৎস্যজীবীরা। এখনও কিছুটা সময় রয়েছে মাছ পাওয়ার।’’
Nawab Mulick