স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১০ টার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ঘাট থেকে বেনুবনের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থীকে নিয়ে ৬ টি লঞ্চ রওনা দেয়। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। দুর্ঘটনা এড়াতেই রাত দশটার পর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ ও জেলা পরিবহণ দফতর। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, বিভিন্ন জায়গায় নদীর নাব্যতা কমে গিয়েছে। ফলে রাতের অন্ধকারে ভালোভাবে দেখতে না পেলে নদীর চড়ায় লঞ্চ, ভেসেল আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ। কিন্তু দেখা গেল সেই সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করছে কিছু লঞ্চ ও ভেসেল।
advertisement
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা পুলিশ। সুন্দরবন পুলিশ জেলার আধিকারিকরা অভিযুক্ত লঞ্চ ও ভেসেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: রাস্তার ধুলো মিশছে মিড-ডে মিলে, হুঁশ নেই কারোর!
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেন সেই নিষেধাজ্ঞা মানা হল না এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। গঙ্গাসাগর মেলার কারণে এই মুহূর্তে ফেরিঘাটগুলোয় কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। কিন্তু সেই নিরাপত্তা এড়িয়ে কীভাবে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ৬ টি লঞ্চ রাত ১০ টার পর গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে এক পুণ্যার্থী জানান, সোমবার রাত দশটার সময় নামখানার বেনুবন থেকে বেশ কয়েক জন যাত্রী নিয়ে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বেশ কয়েকটি লঞ্চ। রাতে লঞ্চ সার্ভিস চালু রাখার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা, সোমবার রাতে সুন্দরবনের নদীগুলোয় দৃশ্যমানতা একেবারে তলানিতে নেমে এসেছিল। ফলে যে কোনও মুহূর্তে দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে গিয়েছিল। ফলে যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই ওই লঞ্চগুলো নদী পারাপার করিয়েছে বলে অভিযোগ।
সুমন সাহা