এই কর্মী সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সম্মেলন শেষে দিলীপ ঘোষ বলেন, "দলের পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত স্তরে সম্মেলন করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয়েছে। বিডিও ঘেরাও, অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে আমরা প্রতিবাদ করেছি।"
advertisement
তৃণমূলের 'দিদির দূত' নতুন পরিকল্পনাকে কটাক্ষ করে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "নির্বাচন এলে এরা কখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কখনও অন্য কিছু বলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করে। নতুন একটা 'ভুজুং' দিচ্ছেন, যেটা ওনারা করেন। আমার মনে হয় বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, এইরকম 'ভুজুং ভাজুং' দিয়ে বাংলার মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।"
তিনি বলেন, "ডায়মন্ড হারবার-সহ একাধিক জেলায় আগের বারে ওরা নমিনেশন পত্র জমা দিতে দেয়নি। অনেককে মেরেছিল, হাত, পা, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। জানি না এবার ওরা কি ফন্দি ফিকির করছেন। ওরা নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বলে বলছে মানেই ওরা গন্ডগোল করবেন এটা ধরে নিতে হবে। প্রতিদিন সব জায়গায় বোমা ফাটছে। বোমা রাস্তায় পড়ে আছে, জমিতে পড়ে আছে, স্কুলের মাঠে পড়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পুলিশ মন্ত্রী, পুলিশ কী করছে জানি না।"
এখানেই শেষ নয়। দিলীপ ঘোষের আরও তোপ, "এত দুষ্কৃতিকারী, সমাজবিরোধী বাংলায় বাড়ছে কেন? সাধারণ মানুষ এখন ভয়ের মধ্যে আছে।আবাস যোজনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা গ্রামে গিয়ে থাকি। রাত্রি বাস করি। ওরা গেলে, ওদেরকে খেতে দেবে ? কেউ খেতে দেবে না কারণ তাদের মাটির বাড়ি লুট করেছে। দলের কর্মীদেরও ছাড়েনি। মাত্র কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে তাদের হকের বাড়িটাও নিয়ে নিয়েছে। ওদের থাকার ব্যবস্থা হবে না, আর কেউ খেতেও দেবে না। ওরা আলতু ফালতু বিষয় নিয়ে আমাদের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়ে বিব্রত করছে। ছ' বছর ধরে বস্তা বস্তা টাকা জমিয়ে রেখেছিল। সেই টাকা নিয়ে আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে। কানমলা খেয়ে ফিরে আসছে। কোর্টে গিয়ে কোনও লাভ হবে না। উপস্থিত ছিলেন জেলা অঞ্চল পর্যবেক্ষক প্রকাশ দাস, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ জাতুয়া-সহ অন্যান্যরা।"
নবাব মল্লিক