সুন্দরবনের কুলতলী ব্লকের মাতলা নদীতে লঞ্চে করে মাইকিং প্রচার শুরু করেছে মৈপীঠ কোস্টাল থানার পুলিশ। নদীতে যেসব মৎস্যজীবীরা রয়েছে তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য সতর্কতামূলক মূলক প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের যে সকল জায়গায় মাটির নদী বাঁধ রয়েছে সে সকল জায়গায় অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেই মাটির নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতরের আধিকারিকেরা।
advertisement
সুন্দরবনের কৈখালী এক বাসিন্দা অশোক দাস বলেন, ‘সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় এখনও পর্যন্ত রয়েছে মাটির নদী বাঁধ। গত বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের মনে হচ্ছে। এই মাটির নদী বাঁধ আমাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না আবারও আমাদের আশ্রয় নিতে হবে ত্রাণ শিবিরে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বহু জমি এবার বসতভিতে টুকু রয়েছে। মনে হয় এই ঘূর্ণিঝড়ের সেটাও হারাতে বসবো আমরা।’
বারুইপুর মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ব্লক প্রশাসন। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মজুত রাখা হচ্ছে শুকনো খাবারের। এলাকায় বিভিন্ন ত্রাণ শিবির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।’ এছাড়া পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের। কন্ট্রোল রুমের নাম্বারও দেওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের।
সুমন সাহা