তবে গত দু মাসে এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ৬০৫টি শিশু জন্ম নিয়েছিল এই হাসপাতালে। আর অক্টোবরে সেই সংখ্যাটা আরও একশোর বেশি বেড়েছে। অক্টোবর মাসে সাধারণ প্রসব হয়েছে ৪৮৩ টি ও অপারেশানের (সিজার) মাধ্যমে প্রসব হয়েছে ২২৬ টি। এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যাই এক মাসে প্রসবের সব থেকে বেশি রেকর্ড।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উদ্ধার ছ'টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ, গ্রেফতার এক
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং ১, ক্যানিং ২ সহ আশপাশের এলাকা থেকে যে মানুষ এই হাসপাতালের উপর ভরসা করছেন, বাড়িতে প্রসব না করিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তাতে খুশি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালে প্রসব করানো অনেক বেশি নিরাপদ বলে দাবি তাঁদের। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার বলেন, “ এই সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ। মানুষ সজাগ হচ্ছেন। বাড়িতে প্রসব না করিয়ে হাসপাতালে বেশি বেশি সংখ্যক মানুষ আসছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ গুলিবিদ্ধ হয়েছে ছেলে! নরেন্দ্রপুরের বাড়িতে উৎকণ্ঠা
দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তি সাধন মাইতি বলেন, “হাসপাতালে প্রসব অনেক বেশি নিরাপদ মা ও সন্তান দুজনের জন্যই। সেটাই মানুষ বুঝতে শুরু করেছে, আর তাই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ হাসপাতালের উপর ভরসা রেখেছেন। সেই কারণেই এক মাসে এতো সংখ্যক শিশুর প্রসব সম্ভব হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।”
Suman saha