কলকাতায় মূলত তাঁরই উদ্যোগে এই বাংলায় প্রথম নারী শিক্ষার জন্যে মহিলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।নারীদের এগিয়ে চলার জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীতা ও নারী পুরুষের সমতার পিছনে তিনি কাজ করে গিয়েছিলেন সারাটা জীবন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। তাঁর সমস্ত জীবন তিনি সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গোড়া তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে গিয়েছিলেন আমৃত্যু। নারীর শিক্ষাগ্রহণ, নারীর বাইরে চলাফেরা, কাজের অধিকার, স্বাধীন চিন্তা ও চেতনার অধিকার নিয়ে তিনি লড়াই করে গিয়েছিলছন সমস্ত জীবন। সেজন্যই বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই বক্তৃতা সভার আয়োজন করেছিল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খুলে কয়েক কোটি টাকা প্রতরণার অভিযোগ!
বক্তৃতায় অংশগ্রহণকারী সকলেই বেগম রোকেয়ার জীবনী এবং নারীশিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এই বক্তৃতা সভা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.সাইদুর রহমানের জানান অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের এই বক্তৃতা সমৃদ্ধশালী ছিল। রোকেয়া যেমন বাংলার নারীদের শিক্ষিত করে তোলার সংকল্প নিয়েছিলেন, ঠিক একইভাবে পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নারী উচ্চ শিক্ষার জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় হাজার হাজার ছাত্রীকে পথ দেখাচ্ছে। ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডায়মন্ডহারবারে পৌরসভার উদ্যোগে বসানো হল বাঘের মূর্তি ও ঘড়ি
প্রায় সব বিষয়ে গবেষণা অর্থাৎ, এম ফিল ও পিএইচডি চালু রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন গায়ত্রীদেবীর বক্তব্য অনলাইনে শোনারও ব্যবস্থা ছিল। গায়ত্রীদেবীকে পঃ ব সরকার সম্প্রতি \"জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০\" কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত । বিশ্ববরেণ্য প্রথিতযশা গায়ত্রীদেবী নারী উচ্চশিক্ষার উপরে বারবার জোর দিয়েছেন। ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
Nawab Mallick