রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্য বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, " ৪০০ বছরের রাস উৎসব পুরানো জমিদারি প্রথার ইতিহ্য মেনে হয়ে আসছে। জমিদার রাজবল্লভ রায় প্রথম সোনারপুরের রাজপুরে এর সূচনা করেন। রাধা মূর্তি রাজপুরে জমিদার বাড়িতে ছিল। বারুইপুরে জমিদারবাড়িতে কৃষ্ণ ঠাকুর নিয়ে চলে আসেন দুর্গাচরণ রায়চৌধুরী। পরে সেখানে রাধা মূর্তি কিনে বারুইপুরে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তিনি রাস উৎসব শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ৭৯ বছরের বৃদ্ধার দেহদানের মধ্যে দিয়েই নজির গড়ল নিউ ব্যারাকপুর হাসপাতাল
এই রাসউৎসবে নাটমন্দির থেকে ঠাকুর নিয়ে যাওয়া হয় রাসমঞ্চে। সেই সময় ঢাক-ঢোল এর সঙ্গে বাজি ফাটানো হয়। এই প্রসঙ্গে সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী বলেন, তিনদিন বিভিন্ন বেশে কৃষ্ণকে সাজানো হয়। প্রথম দিন রাখাল বেশ, দ্বিতীয় দিন নটরাজ এবং তৃতীয় দিন রাজবেশ। ঠিক রাত ১২ টার সময় ঠাকুরকে রুপোর পাখা দিয়ে হাওয়া করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয় মঞ্চে।
আরও পড়ুন : দরিদ্র পরিবার থেকে বিজ্ঞানের উচ্চ গবেষণায়, গ্রামের মেধাবীর নামে রাস্তার নামকরণ
রাতে বাজি ফাটানোর পর যাত্রাপালা শুরু হয়। চলে ভোর পর্যন্ত। এর পাশাপাশি, হাতে টানা পুতুল নাচের খেলা, কীর্তন, তরজা পুরানো নিয়ম মেনেই আজও হয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, এছাড়া মেলার আলাদা আকর্ষণ থাকে সার্কাস। এবারে ডায়মন্ড সার্কাস বসছে মেলায়। এই রাসমেলা দেখতে বারুইপুর-সহ আশপাশের মানুষজন ভিড় করেন।