সরকারি আবাস যোজনার নামের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালে গৃহহীনদের নিয়ে এই সার্ভে হয়। প্রাথমিক ভাবে সার্ভে করে সরকারি কর্মীরা যারা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেন। সেই সার্ভে অনুযায়ী সম্প্রতি তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তবে তালিকায় বহু এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব এমনকি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবীদের নাম রয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক তোলপাড়ও শুরু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কম্বল বিতরণ কাণ্ডে 'রক্ষাকবচ' চেয়ে হাইকোর্টে চৈতালি তিওয়ারি! আদালতে জানালেন 'এই' আর্জিও
বহু জায়গাতেই তালিকায় নাম থাকলেও যাদের পাকা বাড়ি তালিকা থেকে সেই নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তালিকায় নাম দেখেই নিজের উদ্যোগে তাঁর নাম সেই তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। প্রধানের এই সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি এই পঞ্চায়েতের প্রকাশিত তালিকায় মোট ২৭২৭ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় অনেক মানুষের যাদের আগে থেকেই পাকা বাড়ি রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা পর্যালোচনা করে মোট ১৫৯৮টি বাড়ি তৈরির সংশোধনী তালিকা তৈরি হয়েছে। তবে প্রধানের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁর নাম এই আবাস যোজনার তালিকায় এল? এই প্রশ্নের জবাবে দীপালি বলেন, “যখন এই বাড়ির সার্ভে হয়েছিল তখন আমি একজন সাধারণ সদস্য ছিলাম এবং আমার কাঁচা বাড়ি ছিল। যারা সার্ভে করেছিলেন তাঁদের মনে হয়েছিল আমার ঘর প্রয়োজন, সেই কারণে নাম তালিকাভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ইয়াসে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পর ধার দেনা করে বছর দুয়েক আগে বাড়ি তৈরি করেছি। বর্তমানে আমার সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি দরকার নেই, তাই তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন বিডিওকে জানিয়েছি।
সুমন সাহা