মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ জানুয়ারি কাঁকড়া ধরার জন্য ডিঙি নৌকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন বাসুদেববাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ২ জন মৎস্যজীবী। সোমবার বিকেলে মেচুয়ার জঙ্গলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল তাঁদের নৌকা। নৌকার পাটাতনের উপর বসেছিলেন বাসুদেব বৈদ্য। আচমকা ডাঙা থেকে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ! সঙ্গে সঙ্গে বাকি দুই মৎস্যজীবী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া করলে বাসুদেবের দেহ ছেড়ে জঙ্গলে ফিরে যায় দক্ষিণরায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের গতির বলি তরুণ বাইকচালক! বীভৎস দৃশ্য দেখে কেঁপে উঠল এলাকার মানুষ
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেচুয়ার যে জঙ্গলে বাঘ আক্রমণ করেছে তা সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্যে পড়ে। সেখানে কাউকেই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে ওই মৎস্যজীবীরা কীভাবে সেখানে গেলেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের অতিরিক্ত ডিরেক্টর সৌমেন মণ্ডল।
বারবার বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা গভীর জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যাচ্ছেন কেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই জবাব দিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম নস্করের গলায় ফুটে উঠল অসহায়তার তার কথা। বললেন, ‘‘আয়লা, আমফান, ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুন্দরবনে চাষবাস বলতে আর কিছুই নেই। তাই এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা পুরোপুরি জঙ্গলের মাছ, কাঁকড়ার উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাই বিপদ জেনেও আমরা জঙ্গলে যেতে বাধ্য হচ্ছি। না হলে খাব কী, ছেলেমেয়েদের খাওয়াব কী?’’
সুমন সাহা