দেহগঠনে সুঠাম, বলশালী যারা হতেন, তারা এই মল্লযুদ্ধে অংশ নিয়ে হয়ে উঠতেন বিজয়ী, আর তারাই পেতেন রাজসেনার অংশ হওয়ার সুযোগ। কালের গহবরে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই কুস্তি স্পট। আজকের দিনে টেলিভিশনের পর্দায় ডাব্লউডাবুউই বা অন্যান্য গ্ল্যামারাস শো দেখা যায়, কিন্তু সেই কুস্তিতে সাধারণ ঘরের প্রতিভাবান যুবকদের কোনও সুযোগ নেই। স্পনসরশিপ ও সুযোগের অভাবে তারা হারিয়ে যাচ্ছে আলোর বাইরে। তবুও সব আশার আলো নিভে যায়নি।
advertisement
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের ঠাকুরের চক গ্রাম ঠাকুরচক গ্রামে ‘মাল’ দেখতে স্থানীয়দের ভিড়। এখনও ধরে রেখেছে শতাধিক বছরের ঐতিহ্য। এখানে প্রতি বছর আয়োজিত হয় কুস্তির আসর, যাকে অনেকেই ‘মাল’ বলেও ডেকে থাকেন। রাজা তো বটেই, রাজ্যের বাইরের প্রতিযোগীরাও অংশ নেন এই প্রতিযোগিতায়। সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করেন।
লাঠি, ঢাক, করতাল বাজিয়ে এক অন্যরকম পরিবেশে মেতে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় হাট-বাজারে জমে ওঠে রকমারি বিকিকিনি,গ্রামীণ কৃষ্টি যেন প্রাণ ফিরে পায়। এখানেমল্লযুদ্ধ শুধু খেলা নয়, বরং এটি এক আবেগ, যা আজও কিছু মানুষ বুকে আগলে রেখেছেন। এই মল্লকুস্তির মাধ্যমে উঠে আসে লুপ্তপ্রায় এক সংস্কৃতির গল্প, যা শুধুই শক্তির প্রদর্শন নয়, বরং এ এক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার।
Suman Saha