হরিণগুলিকে বিভিন্ন অভয়ারণ্য থেকে আনা হয়েছে। সেগুলিকে প্রথমে রাখা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোবাঁকি জঙ্গলে। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর তাদের গহীন অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হল। মূলত বাঘের খাবারের যোগান হিসেবেই তাদের ঠাই হলো সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে। এমনটাই জানিয়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে করা দোকান রাতের অন্ধকারে পুড়ে ছাই! শেষ সম্বল হারিয়ে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর
advertisement
এক সময় চোরাশিকারীদের দাপটে সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা হু হু করে কমছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে কড়া নজরদারি মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা যে বেড়েছে তা নানান ঘটনায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। আগের থেকে অনেক বেশি বাঘ এখন নজরে পড়ছে পর্যটক থেকে শুরু করে বন্যকর্মী সকলের। এদিকে সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের উপযুক্ত খাবারের সংস্থান ক্রমশই কমছে। পশু বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই মাঝেমধ্যে বাঘ জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে লোকালয় হানা দিচ্ছে। ফলে বাঘের সংখ্যা বাড়ায় তাদের খাবারের চাহিদাও বেড়েছে। সেই কারণেই একসঙ্গে ১০০ টি হরিণ বাঘের খাদ্য হিসেবে ছাড়া হল বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যে। এতে লোকালয়ে বাঘের ঢুকে পড়ার ঘটনা কমবে বলে আশাবাদী বনকর্তারা।
সুমন সাহা