শুধু চিকিৎসাই নয়, শিশুটি যতদিন না বড় হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ডাক্তারবাবু। পাশাপাশি একটা বয়স পর্যন্ত তার পড়াশোনা দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। বর্তমানে শিশুটির বয়স বছর দেড়েক। নিঃশব্দেই এই বিশিষ্ট চিকিৎসক জীব সেবা করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ওই শিশু তার বাবা-মা এবং চিকিৎসক আবদুল হাবিবকে ডেকে সংবর্ধনা দেয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পাশাপাশি ওই সংগঠনের তরফেই শিশুটির পোশাকের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।
advertisement
এদিন ডঃ হাবিব জানান,চিকিৎসার পাশাপাশি শিশুটির পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন,’আমরা দেখি বাবা-মা যদি কোনওরকম বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি হলেও খুব কম ক্ষেত্রে তাদের সন্তানের সেই ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়। তাই দম্পতি দৃষ্টিহীন হলেও তাদের শিশু সন্তানটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক হয়েছে। আমি ওই শিশুটি চিকিৎসার পাশাপাশি পড়াশোনার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আমার পাশাপাশি এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই দৃষ্টিহীন দম্পতি পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন। এভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো কিন্তু আমাদের সমস্ত মানুষের কর্তব্য বলে আমি মনে করি। তাই আমি আমার নিজের ইচ্ছেতেই আমি ওদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
সুমন সাহা