আরও পড়ুন: পুজোর আগে চলছে কাপড় সেলাইয়ের কাজ, ব্যস্ততা তুঙ্গে
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক, কালিম্পংয়ে বেশ বড় করেই এই উৎসব পালিত হয়। তিজ হল শিব ও পার্বতীর অটুট মিলনের প্রতীক। লাল রঙের শাড়ি, নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে সেজে ওঠেন নেপালি মহিলারা। বিবাহিত মহিলারা শিব ও পার্বতীর পুজো করেন। স্বামীর দীর্ঘ জীবন এবং মঙ্গল কামনায় এ বিশেষ পুজো করেন তাঁরা। তেমনি অবিবাহিত মহিলারা শিবের মতো স্বামী পেতে তিজ উৎসব করে থাকেন।
advertisement
ভারতীয় হিন্দুদের অন্যতম পুরনো উৎসবের মধ্যে একটি হল এই হারিতালিকা তিজ। হরিয়ালি তিজ এবং হরতালিকা তিজ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ডে বরাবরই উৎসবের মেজাজে মহিলারা তিজ নিয়ে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। প্রতিবেশী দেশ নেপালে অন্যতম বড় উৎসব এই তিজ উৎসব। এ রাজ্যেও এই উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। গোর্খা মহিলারা এই উৎসব সাড়ম্বরে পালন করেন।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত মহিলারা ভাদ্র মাসের শেষ দিনে নব বধূর সাজে পুজো-অর্চনার মধ্যে দিয়ে তিজ শুরু করেন। পুজো অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মহিলাদের নির্জলা উপবাস। উৎসবের এক মাস আগে থেকেই মহিলারা নিরামিষ খেয়ে থাকেন। আর উৎসবের দিন একেবারে নির্জলা থাকেন। পুজোর পর স্বামীর পায়ে জল ঢেলে উপবাস ভঙ্গ করেন। এদিন রঙিন সাজে সেজে ওঠেন মহিলারা। নাচে, গানে স্বামীর জন্যে শুভ কামনা করে পুজো করেন। প্রতি বছরই ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয় দিনে এই উৎসব হয়। কালিম্পং ঠাকুর বাড়িতে শ্যামাদেবী মন্দিরের গোর্খা জনজাতির মহিলারা রীতিমতো নববধূর সাজে সেজে গানে ও নাচে মেতে ওঠেন।
অনির্বাণ রায়