এদিন সকালে শিলিগুড়ির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত নগরের বাসিন্দা বাপী বণিক বাইকে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তিনি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গল পান্ডে সরনীতে পৌঁছতেই একদল যুবক রাস্তা আটকায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে হঠাৎই বাপী বণিককে মারধর শুরু করে। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিক্রম দাসের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির দাবি, তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়! এই রাস্তা দিয়ে তাঁকে যাতায়াত করতে বারণ করে দেওয়া হয় বলে জানান বাপী।
advertisement
আরও পড়ুন: তুর্কি আইসক্রিমে মজেছে পুরুলিয়া, আট থেকে আশি ভিড় করছে সবাই
কোনও কারণ ছাড়াই তাঁর উপর এই হামলা হয়েছে বলে বাপী বণিকের দাবি। এই ঘটনায় শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পান আক্রান্ত ব্যক্তি। এই ঘটনার পর তিনি শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ, গত বছর নভেম্বর মাসে এই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেই এক মহিলা ব্যবসায়ীর দোকানে ঢুকে হুমকি ও মারধোরের ঘটনা ঘটেছিল। তার দিন কয়েক পর এই ওয়ার্ডেই একজন শিক্ষক ছুরিকাঘাতে আহত হন। তার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন বছরের শুরুতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফের একবার দাদাগিরির ঘটনা সামনে এল।
এই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের যথেষ্ট নামডাক রয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। বহু স্বনামধন্য ব্যক্তি এখানে বসবাস করেন। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। তাঁর ওয়ার্ডে একের পর এক দাদাগিরির ঘটনায় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে এই দাদাগিরির ঘটনার পিছনে আসল মাথা কে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অনির্বাণ রায়