আরও পড়ুন: লোকালয়ে প্রবেশ করতেই মর্মান্তিক পরিণতি! হাতি মৃত্যুর কারণ ঘিরে জল্পনা
ভুভুজেলা বাঁশি গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে ভপু বাঁশি নামে পরিচিত। আবার কেউ বলেন ছাগল বাঁশি। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে অরিজিৎবাবু এই বাঁশি তৈরি করে বিক্রি করেন। কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা হলেও তিনি বর্তমানে শিলিগুড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। এই পুজোতেও তাঁর তৈরি ভুভুজেলা বাঁশি নিয়ে আনন্দে মাততে দেখা গেল শহরবাসীকে।
advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবল বিশ্বকাপের হাত ধরে আফ্রিকার প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র ভুভুজেলার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল গোটা বিশ্বের। তবে দ্রুত তা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। যদিও অরিজিৎবাবুর তৈরি ভুভুজেলা আফ্রিকার ভুভুজেলা বাঁশির থেকে দেখতে আলাদা। কিন্তু আওয়াজ প্রায় একইরকম। তরুণ প্রজন্মকে এই বাঁশি বাজিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে বেশি দেখা যায়।
অরিজিৎবাবু সম্পূর্ন কাগজ দিয়ে তৈরি করেন ভুভুজেলা। কাগজ, ফেভিকল আঠা, সুতো দিয়ে তৈরি হয়। কী করে এই বাঁশি বানালেন জিজ্ঞেস করতেই তিনি জানান, নদিয়ার এক মেলায় গিয়ে সেখানে তালপাতার বাঁশি বিক্রি করতে দেখেন। তারপর সেই বাঁশি কিনে, সেটা দেখে কাগজ দিয়ে নিজের মতো করে বাঁশি তৈরি করে ফেলেন। তাঁর তৈরি ভুভুজেলা সেই সময় ২৫ পয়সা দিয়ে বিক্রি শুরু হয়েছিল। এখন তা ১০ টাকা দামে পাওয়া যায়। অরিজিৎবাবু বলেন, আমি প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নিজের তৈরি এই ভুভুজেলা বাঁশি বিক্রি করছি। সবাই এই ভুভুজেলা পছন্দ করে।
অনির্বাণ রায়