পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়নি এই পাহাড়ি হ্রদে। এবার হ্রদে বোটিং শুরু করায় বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়।এক সময় সাপের উৎপাত ছিল লেক জুড়ে। ফলে, ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। কিছুদিন আগে রাজ্য সরকার কার্শিয়াং থেকে রোহিণী পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরই গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সংস্কার করেছে রোহিণী লেক। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে হ্রদটি। এখানে বোটিং চালু করা হয়েছে। এরপর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে দেখা গিয়েছে লেকে।
advertisement
দার্জিলিং খবর | Darjeeling News
একদিকে খাদে, অন্যদিকে পাহাড়ের ঢালে চা বাগান। আর মাঝে রোহিণী লেক। প্রায় ২২ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে লেকটি। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই লেক। শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং যাওয়ার পথে এই রোহিণীর উপর দিয়েই যেতে হয়। আর যদি দার্জিলিং দিয়ে যেতে চান, তাহলে এটি ৬৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। পাহাড়ের পাকদণ্ডি পথ বেয়ে উঠতে হয় রোহিণী লেকে। রোহিণী হ্রদকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকাটা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। চারিদিকে বসার জায়গা এবং বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। তবে বেশি নজর কাড়ছে পাহাড়ের মাঝে বোটিং।
আরও পড়ুন: মাজদিয়ার বুড়ো শিব! ৩০০ বছরের পুরোনো! গাজনে শিবের অলৌকিক কাহিনি! জানুন
মিরিকের পর এখন রোহিণী হয়ে উঠেছে বোটিংয়ের জায়গা। রোহিণী হ্রদে ৬টি প্যাডেল বোট নামানো হয়েছে। এক একটি বোটে চারজন করে বসতে পারবে। বোটিংয়ের জন্য আপাতত জনপ্রতি ৫০ টাকা করে টিকিট মূল্য ধার্য করা হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে কিন্তু বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যাও।রোহিণী লেককে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় খুশি স্থানীয়রা। এবার ওই লেকের পাশে তৈরি করা হচ্ছে আরো একটি লেক। পাশাপাশি সেখানে থাকা পার্ক সহ গোটা এলকাটিকে নতুন একটি রূপ দিতে তৎপর জিটিএ এর নতুন বোর্ড।
আরও পড়ুন:
তবে, রোহিণী লেক থেকে কার্শিয়াংয়ের রোপওয়ে পরিষেবার কাজ এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু একবার এই অঞ্চলে রোপওয়ে পরিষেবা চালু এই অঞ্চলের আরও জনপ্রিয়তা বাড়বে। টেলিফোনে জিটিএ এর পর্যটন দপ্তরের সভাসদ নর্দান শেরপা জানিয়েছেন, জিটিএ এর পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে রোহিনী লেককে উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেহাল অবস্থায় থাকা লেককে সংস্কার করে সেখানে বোটিং চালু করা হয়েছে।খুব তাড়াতাড়ি রোপওয়ের কাজ শেষ হবে। চলতি বছর দীপাবলির আগে পাহাড়বাসীকে এটা আমরা উপহার দিতে পারব।
অনির্বাণ রায়