এই পাথর বিক্রি করেই সংসার চলে তাদের। প্রতিদিন সকাল হলে এই নদীর পারে মানুষের ভিড় জমে৷ কেউ নদী থেকে পাথর তোলেন, কেউ নদী পাড়ে বসে পাথর ভাঙ্গেন আবার কেউ পাথর চালনি করেন, কেউ বা পাথর গাড়িতে তোলেন৷ কিন্তু বিগত দিনের থেকে বর্তমান ছবিটা অন্য রকম৷ এখন আর নদী পাড়ে মানুষের ভিড় নেই৷ শুনশান নদী৷ কারন নদী থেকে বালি—পাথর তোলা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন৷ তাই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছেন পাথর তোলার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষরা৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ জাবরাভিটা ভিআইপি রোডের দশা বেহাল! চরম ভোগান্তি
বর্ষাতে নদী থাকে কানায়—কানায় পূর্ণ৷ তখন কিছু দিন বন্ধ থাকে এই কাজ৷ এর পর বর্ষার শেষে নদীর জল কমে গেলেই শ্রমিকেরা নেমে পড়ে বালি পাথর তুলতে। তাদের কাছে জীবন মানেই এই পাথর। যত বেশি পাথর তুলতে পারবেন তত বেশি মজুরি। বিশেষ করে পুজোর আগে তাদের বেশি বেশি পাথর তোলার চাহিদা থাকে৷ কিন্তু পুজো এগিয়ে আসছে৷ তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ঘিরে চারিদিকে সাজো সাজো রব থাকলেও বালাসন নদীর দুই ধারে থাকা মানুষ যারা এই নদীকেই তাদের বেঁচে থাকার রসদ করেছেন তাদের মুখে শুধুই দুশ্চিন্তার ছায়া৷
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উদ্যোগে পাহাড় ও সমতলে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ
তাদের মনে একটাই প্রশ্ন করে খুলবে নদী কবে আবার তাদের জীবনে ফিরতে কাজের ছন্দ৷ যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী থেকে পাথর তোলা বন্ধ তবুও অনেকে আগের থেকে তোলা পাথর ভাঙছেন৷ তাদের আশা পাথর তোলার অনুমতি পেলে তাদের কিছুটা আর্থিক লাভের মুখ দেখবেন৷ নদীর ওপর নির্ভর করে চলা মানুষদের অনুরোধ পুজোর আগে খুলা হোক নদী৷ নদী খুললে বাঁচবে হাজার হাজার মানুষ৷
Anirban Roy