চলতি মাসেই হগ ডিয়ার বা নাত্রিণী হরিণের একটি শাবক জন্ম নিয়েছে। নাত্রিণী হরিণের সংখ্যা যখন দক্ষিণ এশিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমছে, তখন বেঙ্গল সাফারিতে নতুন অতিথির দেখা মেলায় সকলে স্বাভবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত।
আরও পড়ুন: পুজো চলার মাঝে আচমকা এ কীসের আর্বিভাব! চমকে গেলেন এলাকার বাসিন্দারা
বেঙ্গল সাফারির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘ব্ল্যাক বিয়ারের পর হগ ডিয়ারের শাবকের জন্ম নেওয়াটা নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে জোড়া প্রাপ্তি। এখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রজনন হচ্ছে। আশা করছি, কিছুদিন পর থেকেই আমরা সায়েন্টিফিক কোর্সে প্রজনন করতে পারব।' তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, সেন্ট্রাল জু অথরিটির অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী।
advertisement
শিলা মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার পর থেকেই বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেছে। বর্তমান সময়ে ব্ল্যাক বিয়ারের সন্তান প্রসব সেই আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফুর্বুর শাবক যখন বড় হচ্ছে, তখন বেঙ্গল সাফারিতে নতুন অতিথি এসে হাজির। এবার হগ ডিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি হল। বেঙ্গল সাফারি সূত্রে খবর, গত বছর জামশেদপুরের টাটা জু থেকে চারটি হগ ডিয়ার আনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: লোকালয়ে বাইসন ! বারবার জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশের কারণ জানলে অবাক হবেন
যার মধ্যে দুটি পুরুষ। কয়েক মাস আগে সাফারি কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে একটি নাত্রিণী হরিণ মা হতে চলেছে। এরপর থেকেই তার ওপর বিশেষ নজরদারি শুরু হয়। ২১ দিন আগে ওই হরিণটি মাতৃত্বের স্বাদ পায়। তবে শাবকটি ছেলে না মেয়ে, বয়স কম হওয়ায় এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে মা এবং সন্তান সুস্থ আছে বলেই সাফারি সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, হগ ডিয়ারের বিচরণভূমি মূলত দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া। তৃণভোজী প্রাণীটির সংখ্যা ক্রমশও কমতে থাকায় তাকে শিডিউল-১’এ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে হগ হরিণ প্যারা হরিণ নামে পরিচিত। শুধু বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, নতুন সাফারির ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অনির্বাণ রায়