Siliguri News: এক হাতে বন্দুক, অন্য হাতে বই! দেশরক্ষার পাশাপাশি সমাজের ভবিষ্যৎ গড়ছেন শিলিগুড়ির শক্তি, অসহায় শিশুদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষার আলো
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
Siliguri News: দেশরক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমাজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার এই তাগিদই শক্তি পালকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়। সীমান্ত পাহারা দেওয়া ও শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা, এটাই তাঁর জীবনের দ্বৈত মিশন। এই জওয়ান কী কী করছেন জানলে স্যালুট করবেন।
দেশের সীমান্ত রক্ষার কঠিন দায়িত্ব পালন করাই যেখানে অধিকাংশ সৈনিকের একমাত্র লক্ষ্য, সেখানে আসাম রাইফেলসের রাইফেলম্যান শক্তি পাল বেছে নিয়েছেন আরও এক ভিন্ন পথ। ইউনিফর্ম পরে সীমান্ত পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি একদল সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য তিনি দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধেও লড়ছেন। (ছবি ও তথ্যঃ ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
১৯৯১ সালে শিলিগুড়িতে জন্ম শক্তির। খুব ছোটবেলাতেই বাবাকে হারান। সংসার চালাতে মা কেরোসিন ও ডিম বিক্রি করতেন। অভাবের মধ্যেই দিন কাটত। পড়াশোনার একমাত্র আলো ছিল মাটির ঘরের কেরোসিন ল্যাম্প। সেখানেই তিনি নিজের স্বপ্ন গড়ে তুলেছিলেন, একদিন পরিবারকে দারিদ্র্যের অন্ধকার থেকে তুলে আনবেন। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০০৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ পেরোন তিনি।
advertisement
সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর শক্তি একের পর এক কঠিন পোস্টিংয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মায়ানমার সীমান্তে দীর্ঘ তিন বছরের দায়িত্ব, অসম ও মণিপুরের নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া, সবটাই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে সামলেছেন। এমনকি ২০২২ সালে দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডে বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মানও পান তিনি।
advertisement
নিজের শৈশবের কষ্ট তাঁকে ভিতর থেকে বদলে দিয়েছিল। শক্তি বুঝেছিলেন, অশিক্ষা দারিদ্র্যের সবচেয়ে বড় কারণ। তাই নিজের উদ্যোগে শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে তিনি তৈরি করেন ‘বিদ্যাছায়া পাঠশালা’। গত দশ বছর ধরে এখানে ৮০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু বিনামূল্যে পড়াশোনা করছে। তাঁদের কাছে শক্তি শুধু একজন শিক্ষক নন, একজন অভিভাবকের মতো।
advertisement
মানবিকতার কাজ শুধু শিলিগুড়িতে আটকে রাখেননি শক্তি। কলকাতার দমদম ক্যান্টনমেন্টের পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার এলাকার বস্তির শিশুদের জন্যেও তিনি নিয়মিত ফ্রি ক্লাস চালান। এতে পাশে আছে স্থানীয় এনজিও ‘আশার আলো’। পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের চা বাগান এলাকায় দরিদ্র পরিবারগুলিকে পোশাক, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেন তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement
