মেয়র শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রধান কার্যালয়ে পিএইচই এবং সেচ বিভাগের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে তারা ইনটেক ওয়েল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। বর্তমানে ফুলবাড়ীর জল শোধনাগার থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। তিস্তা মহানন্দা খাল থেকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল পাম্প করা হয়, যেখানে তা পরিশোধন করা হয়। তারপরে এটি বিভিন্ন স্থানে ১৬টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক এবং ৪টি ভূগর্ভস্থ জলাধারে সরবরাহ করা হয়, যেখান থেকে এটি শিলিগুড়ি পুরনিগমের অধীনে ৪৭টি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ মহিলাদের ছবি দেখিয়ে প্রতারণা চক্র! পুলিশের ফাঁদে দুই যুবক
বর্তমানে চলতি ওয়াটার প্রজেক্ট থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জলের চাহিদা মেটানো হয়। যেখানে সরবরাহ করা হয় প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন লিটার (এমএলডি)। নতুন মেগা ওয়াটার প্রকল্পের ধারণক্ষমতা হবে ১৩৫ এমএলডি। মেগা ওয়াটার প্রজেক্টে গাজলডোবা থেকে জল পাম্প করা হবে। কিন্তু নানা কারণে জলপ্রকল্প স্থাপনে সময় লাগবে।
যার জন্য ফুলবাড়ীতে আরেকটি ইনটেক ওয়েল স্থাপন করা হবে, যেখানে জল জমে থাকবে। তারপর ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করা হবে। মেয়র গৌতম দেব বলেছেন “আমরা শিলিগুড়িতে ৪৭টি ওয়ার্ডের জন্য একটি মেগা পানীয় জলের প্রকল্প হাতে নিয়েছি৷ কিন্তু সেই প্রকল্পটি বিভিন্ন কারণে সময় লাগবে৷ প্রকৃতপক্ষে, পানীয় জলের সমস্যা সাময়িকভাবে সমাধান করার জন্য, আমরা ফুলবাড়িতে একটি বিকল্প ইনটেক ওয়েল স্থাপন করব৷ প্রকল্পের ব্যয় 6 কোটি 9 লক্ষ টাকা। আমরা দুর্গা পূজার আগে ইনটেক ওয়েল স্থাপনের চেষ্টা করছি।” এছাড়াও শহরে অবৈধ বোরিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র। অবৈধ বোরিংয়ের ওপর নজরদারি শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
অনির্বাণ রায়