শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় অবস্থিত প্রায় ৬০ বছরের পুরনো এক বেকারিতে ঢুঁ মারলেই বোঝা যায় উৎসবের তাড়াহুড়ো। বছরের পর বছর ধরে বড়দিন মানেই এখানে বাড়তি ব্যস্ততা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। শেষ পর্যায়ে চলছে কেক তৈরির কাজ। দিন-রাত এক করে কারিগররা ব্যস্ত কেক তৈরির কাজে। কিন্তু আনন্দের মাঝেও চাপ বেড়েছে খরচের। ডিমের দাম আকাশছোঁয়া, তেল, চিনি-সব কিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বাধ্য হয়েই কেকের দাম বাড়াতে হয়েছে বিক্রেতাদের। যে কেক একসময় ১০ টাকায় মিলত, তা এখন ১৫ টাকা। অন্যান্য কেকের দামও ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
advertisement
প্রতি বছর এই সময় শিলিগুড়ির বাজারে কেক তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো হলেও, এ বছর চিত্রটা একটু আলাদা। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বিক্রিতেও। বাজারে কিছুটা মন্দা, প্রত্যাশামতো বিক্রি হচ্ছে না। তবু ২৫ ডিসেম্বরের দিকে পরিস্থিতি বদলাবে, এই আশাতেই দিন গুনছেন বিক্রেতারা। সেই কারণেই ঝুঁকি নিয়েই কেক তৈরি চলছে, যদিও চাহিদা কম থাকায় উৎপাদনও আগের তুলনায় কিছুটা কমানো হয়েছে। হাকিমপাড়ার ওই বেকারির বিক্রেতা কিরণ পাল জানান, এ বছর ফ্রুট কেকের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তাই সেটাই বেশি করে বানানো হচ্ছে। ১২ জন কারিগর নিয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রতিদিন প্রায় এক কুইন্টালের কাছাকাছি কেক তৈরি হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে আশঙ্কাও রয়ে গিয়েছে। বাইরের জেলা থেকে অর্ডার প্রায় নেই বললেই চলে। জলপাইগুড়ি, আসাম, দিনহাটা, কোচবিহার-কোথাও থেকে তেমন অর্ডার আসেনি। পাহাড় থেকেও হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র। কিরণ পালের কথায়, মিরিকে এখনও রাস্তা বন্ধ থাকা এবং পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার কারণে আগের মতো অর্ডার আসছে না। ফলে এ বছর কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তবু বড়দিন মানেই আশা। সব দুশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে শেষ মুহূর্তে বিক্রি বাড়বে, এই ভরসাতেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন বেকারিতে বেক হচ্ছে উৎসবের কেক।





