শিলিগুড়ি পুরনিগমের নাকের ডগায় বসে কীভাবে এমন বেআইনি কারবার চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। এদিকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পরই পলাতক ওই দোকানের মালিক গুড্ডু খান। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সারা বছর পাওয়া যাবে জয়নগরের মোয়া! উদ্যোগ সরকারের
advertisement
উল্লেখ্য, বুধবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্জাবি পাড়ায় সেনাবাহিনীর একটি ছোট ভ্যানের এসি মেশিনে গ্যাস ভরা হচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় এক সেনা জওয়ান সহ চারজন আহত হনয়।
ওই ঘটনার পরই বুধবার রাতে দোকান মালিক গুড্ডু খানের বিরুদ্ধে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে সেনা পুলিশ। গোটা ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ অন্যান্যরা। ওই ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়। তাতেই জানা যায়, ট্রেড বা ফায়ার কোনরকম লাইসেন্সই নেই ওই ব্যবসায়ীর। বিষয়টি জানা মাত্রই পুর আইনে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথা জানান মেয়র গৌতম দেব। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মেয়র বলেন, ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স নেই সেটা জানা মাত্রই তার বিরুদ্ধে পুর আইনে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি আর কোথাও এই ধরণের অবৈধ দোকান আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (ট্রেড লাইসেন্স) দিলীপ বর্মন বলেন, ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এছাড়া তদন্ত করে জানা গিয়েছে আগে অফলাইনে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ায় ৬০ শতাংশ লাইসেন্সেই গরমিল আছে। আর তাই পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগ সার্ভে শুরু করেছে। এই ধরণের অবৈধ কার্যকলাপ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
অনির্বাণ রায়