শিলিগুড়িতে টানা এত গরম শেষ কবে পড়েছে তা প্রবীণ নাগরিকরাও মনে করতে পারছেন না। ফলে কোনভাবেই এই প্রবল গরম ও তাপপ্রবাহ সহ্য করতে পারছে না শরীর। আর তাই হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে বাঁচতে এসি, কুলার কেনার জন্য দোকানে দোকানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে শহরবাসী। হাইস্পিড ফ্যানের চাহিদাও এবার গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। গরম বাড়তে মানুষের যেমন হাঁসফাঁস দশা, তেমনই হাসি চওড়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য বিক্রেতাদের মুখে।
advertisement
আরও পড়ুন: শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রথম পার্কিং জোন তৈরি হচ্ছে বালুরঘাটে
শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট তো বটেই রবীন্দ্রনগর, হাকিমপাড়া, সুভাষপল্লি এলাকাতেও পাড়ায় পাড়ায় থাকা বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকানগুলিতে এখন যেন তিলধারণের জায়গা নেই। প্রতিটি দোকানেই এসি, এয়ার কুলারের তুঙ্গ চাহিদা। যাঁদের সামর্থ্য কম তাঁরা হাইস্পিড স্ট্যান্ড ফ্যানের দিকে ঝুঁকেছেন। এদিকে এসি বিক্রি এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেলেও অন্য সমস্যায় পড়েছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা গরম থেকে বাঁচতে দিনের দিন এসি ইনস্টল করার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু হাতে কর্মী সংখ্যা কম থাকায় পরিস্থিতির সামলে উঠতে পারছেন না বিক্রেতারা। তা নিয়ে মাঝে মধ্যেই ক্রেতাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে আশিঘর মোড়ের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রেতা অরুন কুমার পাল বলেন, সাধারণত অন্যবছর মে-জুন মাস নাগাদ বিক্রি বাড়ে। কিন্তু এবার এপ্রিলের শুরু থেকে গরম বেড়ে যাওয়ায় আগাম বিক্রি অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আগে দার্জিলিং জেলায় এয়ার কুলারের খুব একটা প্রয়োজন হত না। কিন্তু এবার এয়ার কুলারও ভাল পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। হাকিমপাড়ার ব্যবসায়ী সুজিত কর্মকার বলেন, গত কয়েকদিনে এসি, ফ্যানের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তবে গরম অত্যধিক পড়ায় মানুষ এত বেশি এসি কিনছেন যে তা ইনস্টল করতে আমাদের নাজেহাল অবস্থা। প্রত্যেকেই চান তাঁরটা আগে ইনস্টল করে দেওয়া হোক। বছরের অন্য সময়ে কিনলে কিন্তু এই সমস্যা থাকে না। এদিকে কিছুদিন আগেই বিদ্যুৎ দফতরের তরফে বলা হয়, এসি কিনতে হলে বিদ্যুৎ দফতরের পরামর্শ নিয়ে কিনতে হবে। হঠাৎ বিদ্যুৎ দফতরের এই নোটিসে খানিকটা হলেও অসন্তুষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
অনির্বাণ রায়