কিন্তু ২০২২ সালের এই আধুনিক যুগে বাড়িতে তালের তৈরি খাবার বানানোর ঝোঁক অনেকটাই কমেছে গৃহিণীদের মধ্যে। একদিকে গতিময় আধুনিক সমাজ আর অন্যদিকে ব্যস্ততার মধ্যে সময়ে অভাব। সব মিলিয়ে এখন যেন ধীরে ধীরে আধুনিক সমাজের গৃহস্থ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তালের প্রচলন।তাল রস থেকে খাবার সামগ্রী তৈরির ঝোক্কি এখনকার আধুনিক সমাজের গৃহিণীদের কাছে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি খানি ব্যাপার নয়। সেজন্য প্রচলন মেনে কেউ কেউ নামমাত্র তালের রস বা তালের বড়া বানিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শহরের মাঝে ডাম্পিং গ্রাউন্ড! দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাসিন্দাদের
আবার কেউ কেউ বাজার থেকে তালের রসের তৈরি রেডিমেট সামগ্রী পূজোতে ব্যবহার করে। বছরের পর বছর তালের চাহিদা কম হতে থাকায় বাজারেও তালের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। যেকটা তাল ব্যবসায়ীরা আনছেন তাও আবার বিকোচ্ছে বেশ চড়া দামে। এক একটা তাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটের এক ফল ব্যবসায়ী পিন্টু সাহা বলেন, \"তালের চাহিদা কম আর বিক্রিও হচ্ছে কম। দামটাও বেড়েছে।\"
আরও পড়ুনঃ বেড়েছে হাতির আনাগোনা! আতঙ্কিত খোলা চাঁদ ফাপরির মানুষ
আরেক ফল বিক্রেতা গৌরাঙ্গ পাল বলেন, \"এখনকার দিনে কেউ তাল কিনে যাবতীয় খাবার বানানোর ঝক্কি নিতে চায় না। সেজন্য বিক্রি কমেছে। আর এখন সবই রেডিমেট পাওয়া যায়। তাই দিয়ে পূজো সারছে। দিদা, ঠাকুমার আমলে তালের তৈরি খাবার বা ভোগ বানানোর প্রচলন আর দেখা যায় না।\"
শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার গৃহবধূ শিমু সাহা বলেন, \"তাল কিনে বাপের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। মা তালের রস দিয়ে ভোগ আর খাবার বানাবে। এখন সব রেডিমেট পাওয়া যায় দেখে চাহিদা কমেছে।\" আশ্রমপাড়ার এক প্রৌঢ় বিষ্ণু সাহা বলেন, \"এখন আর দিদা ঠাকুমার যুগ নেই। আগে একান্নবর্তী পরিবার ছিল। সবাই মিলে বানাতো। এখন আর কেউ বানাতে চায় না। তাই একটা নিয়ে নামমাত্র কাজ চালানো হয়। আর দামও অনেকটা বেড়েছে।\"
Anirban Roy