উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন দিকে প্রচুর আবাসন ছড়িয়ে রয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, কলেজ ও হাসপাতালকর্মী মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ ওইসব আবাসনে থাকেন। প্রতিটি আবাসনই ২৫-৩০ বছর আগে তৈরি হয়েছে। তারপর থেকে এগুলিতে কোনও সংস্কারের কাজ হয়নি। শুধুমাত্র কয়েক বছর আগে কয়েকটি আবাসনে নীল-সাদা রং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাকর্মীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি! কান ছিঁড়ে সোনার দুল নিয়ে চম্পট, ভয়াবহ ঘটনা
advertisement
বহুদিন ধরেই আবাসনে বিভিন্ন সমস্যা মাথায় নিয়ে বাস করছেন আবাসিকরা। আবাসনে থাকায় তাঁদের হাউজরেন্ট কেটে নেওয়া হলেও তেমন কোনও পরিষেবাই পান না তাঁরা। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির জেরে এদিন সকালে তেঁতুলতলার ই-ফোর (ই-৪) আবাসনের সামনের চাঙড় অনেকটাই খসে পড়ে। যার জেরে আবাসনে যাতায়াতের রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। এই দেখে আতঙ্কিত আবাসিকরা পুলিশ ও দমকল বিভাগকে খবর দেন। দমকলের গাড়ি এসে খসে পড়া চাঙড় সরিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: এত বড় সাপ! এলাকায় প্রথমবার বিশালাকার সরীসৃপ দেখে আতঙ্কে বাসিন্দারা, দেখুন ভিডিও
এই ঘটনার পর থেকে সরব হয়েছেন আবাসিক কর্মীরা। মল্লিকা দাশগুপ্ত, সীমা পাল , মানব দাস-সহ অন্য আবাসিকরা জানান, এই আবাসনেই ৪০টি পরিবার বসবাস করে। হামেশাই আবাসনের যে কোনও জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। বৃষ্টি হলে কার্নিশ, ব্যালকনি দিয়ে জল ঢোকে। এদিন বিশাল বড় চাঙড় ভেঙে পড়েছে। তার পর থেকেই প্রতিটি পরিবার আতঙ্কিত।
সীমা পালের কথায়, ‘‘বর্ষা এখনও শুরুই হয়নি। তাতেই চাঙড় খসে পড়েছে। বেশি বৃষ্টি হলে অথবা ছোটখাটো ভূমিকম্প হলে গোটা আবাসনই হয়তো ভেঙে পড়বে। সেই আতঙ্কেই ছেলেপুলেকে নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।’’
আবাসিকদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে রয়েছে। সবার শৌচালয়ের জল প্রতিদিন আবাসনে যাতায়াতের রাস্তায় চলে আসে। ওই জল ডিঙিয়েই অফিসে যাতায়াত করতে হয়। বহুবার বলার পরেও নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক হয়নি। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেছেন, কর্মীদের নিরাপত্তার দিকটা অবশ্যই ভাবতে হবে। প্রয়োজন হলে প্রতিটি আবাসন মেরামতির কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
অনির্বাণ রায়