আরও পড়ুন: পুজো আসতেই জারবেরা ফুলের চাহিদা তুঙ্গে, যোগান কম থাকায় চাপে চাষিরা
প্রতিকৃতি হোক বা প্রকৃতি, নখের সাহায্যে ৫৪ ফুট বাই ৫ ফুটের ক্যানভাসে হাতের নখ দিয়ে ছবি এঁকে ২০১৩ সালে লিমকা বুক অফ ন্যাশনাল রেকর্ডসে নাম উঠেছিল অজয় সরকারের। তারপর ৬০ ফুট বাই ৫ ফুটের ক্যানভাসে ছবি এঁকে নাম তুলেছেন এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসেও। এছাড়াও ২০১৯ সালে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিসিয়াল পার্টিসিপেন্ট হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
advertisement
প্রসঙ্গত নখের আঁচড়ে ছবি আঁকার প্রথাগত নাম ‘নেইল ব্রাশ পেইন্টিং’। ক্যানভাস প্যাস্টেল রঙে রাঙিয়ে তারপর নখ দিয়ে খুঁটে খুঁটে ফুটিয়ে তুলতে হয় ছবি। অত্যন্ত কঠিন এই আঙ্গিকেই একের পর ছবি এঁকে চলেছেন অজয়বাবু। তিনি পেশাগতভাবে আঁকার শিক্ষক। যদিও নেই কোনও আর্ট কলেজের প্রথাগত শিক্ষা। তারপরেও ছাত্র-ছাত্রীদের জলরং, তেলরং, প্যাস্টেল, ক্যালিগ্রাফি—সবই শেখান। শিলিগুড়ির প্রধান নগরে রয়েছে তাঁর আর্ট অ্যাকাডেমি।
শিল্পী অজয় সরকার বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের ছবি আঁকা শেখানোর সময় ক্যানভাস থেকে বাড়তি রং নখ দিয়ে খুঁটে তোলার সময় ভাবনাটা মাথায় আসে। তার পরে অবশ্য দীর্ঘদিন অভ্যাস করতে হয়েছে। নখের আঁচড়ে ভারতে এ ভাবে আর কেউ ছবি আঁকে কিনা আমার জানা নেই।’ নখকেও যে তুলি বা কলমের মতো ব্যবহার করা যায় তা প্রতিমুহূর্তে শিখিয়ে চলেছেন শিলিগুড়ির এই শিল্পী।
অনির্বাণ রায়