তবে শুধু বরাতের ভরসা নয়, দিনের দিন বহু প্রতিমা পাহাড়ে রওনা হয়। সেই লক্ষ্যেই প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন শিল্পীরা। বৃষ্টিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজ নিজ কারখানায় দিনরাত এক করে কাজ করছিলেন শিলিগুড়ির কুমোরটুলির শিল্পীরা। কিন্তু সিকিমে বিপর্যের খবর সামনে আসতেই যেন তাদের মাথায় বাজ পড়ে। একে একে শুরু হয় বরাত বাতিল হওয়া। যে দু-একটা বরাত শেষ অবধি টিকে রয়েছে সেক্ষেত্রেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন- অরিজিৎ সিং কত টাকা নেন ‘বিয়ে’-তে গান গাইতে? চমকে যাবেন টাকার অঙ্ক শুনলে
আরও পড়ুন-অকালে চলে গেলেন সলমনের কাছের মানুষ, পুজোর মরশুমে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে
তাদের কথায় শিলিগুড়ি এবং সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও তা স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই ঘুর পথে প্রতিমা পৌঁছোতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মোটা টাকা গাড়ি ভাড়ায় খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি। এই দুইয়ের চাপে শিল্পীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির কুমোরটুলির এক শিল্পী নারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিকিমে প্রতি বছরই বহু প্রতিমা যেত। এবারও বরাত এসেছিল অনেক। কিন্তু সিকিম বিপর্যয়ের জেরে ৯০ শতাংশ বরাত বাতিল হয়েছে। খুবই সমস্যায় রয়েছি আমরা। আর্থিকভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছি। সরকারি সহযোগিতাও নেই। কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। তবে নেশা এবং পেশা এই দুইয়ের টানে এখনও প্রতিমা গড়ে চলি।’ অপর এক শিল্পী দীপেশ পাল বলেন, ‘পাহাড় থেকে মোট ২০টি বরাত মিলেছিল। তার মধ্যে ১৬টি বরাত আগেই বাতিল হয়েছে। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। কিছু করার নেই। ক্ষতি সামলেই চলতে হচ্ছে।’দেবী পক্ষের সূচনায় শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে আট থেকে আশি সকলেই উৎফুল্ল। আনন্দে মাতোয়ারা সকলেই। কিন্তু সেই দর্শনার্থীদের মন ভরাতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন সেই শিল্পীরা ভাল নেই। তাদের হাসিটা যেন ফিকে হয়ে এসেছে।
অনির্বাণ রায়






