কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পী ব্যোমকেশ পালের হাতে গড়ে উঠতো মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি এখন অবশ্য স্থানীয় মৃৎশিল্পীকে দিয়েই প্রতিমা গড়া হয়। শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় বিগ বাজেটের পুজোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ এর মাঝে মিত্র সম্মেলনের দুর্গাপুজো এক আলাদা ঐতিহ্য বহন করে। পুজোর কয়েকটা দিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসেন।
আরও পড়ুন West Burdwan News : ১৫০ বছরের প্রাচীন মহাবীর মূর্তি চুরি দশ দিনের উৎসব শেষে
advertisement
ষষ্ঠী থেকে পুজোর শুরু। শহরের অন্যতম প্রাচীন এই পুজোর আচারের নিজস্বতা রয়েছে দেবীর জন্য বিশেষ ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। মিত্র সম্মিলনী সাধারণ সম্পাদক অশোক ভট্টাচার্যের কথায় এক ব্রাহ্মণী সপ্তমীতে মায়ের জন্য খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, পায়েস রান্না করেন। অষ্টমী ও নবমীতেও তাই থাকে। সন্ধিপুজোয় মাকে লুচি ও পাঁচ রকমের ভাজা ও পায়েস ভোগ দেওয়া হয়৷ এছাড়া সাধারণ মানুষ ও সম্মিলনীর সদস্যদের জন্য আলাদা করে প্রসাদ বানানো হয়। বৈকালিক ভোগের রীতিটি এখনো চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন East Medinipur News: একটানা আর দিঘা যাত্রা করতে হবে না, পথেই আরাম করুন এই জায়গায়, রইল হদিশ
প্রথমে নীল নলিনী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর কাছে একটি বেল গাছের তলায় এই পুজো হতো। স্কুল তৈরির সময় গাছটি কাটা পড়ে ফের নতুন করে একটি বেল গাছ লাগানো হয়। এখন সেখানেই দেবী বোধনের আগে বিধি গুলি সম্পন্ন হয়। গত দুবছর করোনা বিধিনিষেধের গেরোয়ে আটকে পুজোর রীতিনীতিতে কিছু কাটছাট করতে হয়েছিল। মন্ডপের বদলে কুমোরটুলিতে গড়া হয়েছিল মূর্তি৷ তবে এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পুরনো প্রথা বজায় রেখে এর মন্ডপ এই মূর্তি গড়ার কাজ চলছে।
শিলিগুড়ি শহর বদলাচ্ছে। বদল ঘটছে পুজোর আয়োজনেও। চাকচিক্যের ভিড়ে মিত্র সম্মিলনীর পুজো স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেছে। ছোট থেকে এই পুজো দেখে বড় হয়েছেন সুদীপ্তা পাল, গৌরব সেন এখন কাজের সূত্রে শহরের বাইরে থাকেন ওরা। পুজোর ছুটিতে বাড়িতে আসেন। ওই কয়েকটি দিন মিত্র সম্মিলনীর পুজোর মন্ডপে দিন কাটে গৌরবদের। দশমীর দিন বেলা ১২:০০ টায় দেবীর বিসর্জন যাত্রা শুরু হয়৷ তার আগে মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন তারা।
অনির্বাণ রায়