ছোট বেলা থেকেই দেখেছেন তার দাদাকে রেডিও মেকানিকের কাজ করতে৷ সেই থেকেই দাদাকে দেখে বিভিন্ন যন্ত্রের সঙ্গে তার পরিচয়৷ সেই নিয়েই চলত কিশোর মনে বিভিন্ন জিনিসের ভাবনা৷ নিজে থেকে কিছু করার কল্পনা৷ মাধ্যমিক পাশ করে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা পড়ার ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয়নি৷ সে সময় বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার বাধা হয়েছিল পরিবারের অভাব, তাই ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করেছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: দূষণ রুখতে ব্যবস্থা, ফুলেশ্বরী নদীর উপর নেট দিয়ে ঘেরা শুরু
কিন্তু বিজ্ঞান ভাবনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল মনে মনে৷ বিজ্ঞান নিয়ে খাতায়—কলমে ডিগ্রি না থাকলেও তিনি বিজ্ঞান নিয়ে ভাবেন৷ নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করেন৷ বিজ্ঞান নিয়ে তার স্বল্প জ্ঞান থাকলেও এখন বেশিরভাগ সময়েই তিনি বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করায় আরও নতুন জিনিস শিখতে পারছেন বলে জানান। এছাড়াও তিনি জানান তার স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরাও তাকে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করেন সমস্ত বিষয়ে।
আরও পড়ুন: এই ফল চাষ করেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিলিগুড়ির মহিলা, শুনলে অবাক হবেন
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বাড়িতে অব্যবহৃত বা ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ইতিমধ্যে তিনি তৈরী করেছেন রোবো কার, পার্সোনাল কলিং বেল এবং ফোল্ডিং ফ্যান সহ বিভিন্ন রকম জিনিস৷ ছাত্র-ছাত্রীদের ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করাতে ভালোবাসেন তিনি। তিনি জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে নতুন কিছু শিখতে যায়। তথাকথিত শিক্ষার বাইরে একটা অন্যজগত আছে সেই জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই তার মূল লক্ষ্য। তার তৈরি জিনিসগুলো নিয়ে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং দেখান। তিনি যখন ক্লাসে তার ব্যাগ নিয়ে যান। তখন তার ছাত্ররা মুখিয়ে থাকে যে আজকে নতুন কিছু দেখতে পারবো নতুন কিছু শিখতে পারবো এবং ছাত্রদের এই আগ্রহই তাকে আরও নতুন কিছু জিনিস তৈরি করার ভাবনার দিকে এগিয়ে দেয়।
অনির্বাণ রায়





