ভেষজ আবীর তৈরি করে স্বনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মহিলারা। ফুল, শাক পাতা, বিট, গাজর দিয়ে কীভাবে আবীর বানানো যায় সেই পদ্ধতি মহিলারা এবার ঘরেই বানিয়ে স্বনির্ভর হতে পারবেন। এদিন শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন নরেশের মোড় এলাকায় ইউনিক ফাউন্ডেশনের তরফে মহিলাদের ভেষজ আবীর তৈরির পদ্ধতি শেখানো হল। এবং শুধু এই এলাকায় নয়, শিলিগুড়ি সংলগ্ন আরও বিভিন্ন এলাকায় মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এরকম প্রশিক্ষণ তাঁরা দিয়ে আসছেন বলে জানান সংস্থার কর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির মহাসুযোগ, WBCS ২০২৩-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ! জানুন বিস্তারিত
গাঁদা ফুল, পালং শাক, হলুদ, বিট ইত্যাদি ভেষজ শাক সবজি, ফুল দিয়ে সেগুলিকে পেস্টিং করে তার থেকে রস বের করে সেটিকে কর্নফ্লাওয়ার এবং ট্যালকাম পাউডার মিশ্রিত একটি মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে এই ভেষজ আবীর বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যাবে। তারপর সেগুলিকে রোদে শুকিয়ে বাজারজাত করা হবে বলে জানালেন প্রশিক্ষক অর্পিতা সিংহ রায়। এছাড়াও তিনি জানান, এই ধরনের আবীর ব্যবহারে চামড়া, চোখ বা শরীরে কোনও রকম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। পাড়ার ৮-১০ জন মহিলা মিলে গড়ে তুলেছেন এই গোষ্ঠী। তাঁরা নিজেরা মিলে এই আবীর তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রা শেষে এ কী হাল রাহুল গান্ধির! হলফ করে বলা যায় চিনতে পারবেন না, দেখুন
এই আবীর তৈরি হওয়ার পর সেগুলি বিক্রির জন্য নিজের এলাকা তো বটেই, সেই ভেষজ আবীর এবার পৌঁছে যাবে ইসলামপুর, বিধাননগর, জলপাইগুড়ি, ও কোচবিহারের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে৷ ইউনিক ফাউন্ডেশন টিমের কর্নধার শক্তি পাল বলছেন, 'ভেষজ আবীরের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই৷ আমাদের আবীরের গুণগত মানও যথেষ্ট ভাল৷ ফলে আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। এবার ১০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত প্যাকেটে করা হবে এবং আমরা এই সমস্ত আবীরগুলি মাটির তৈরি হাড়িতে মাটির তৈরি গ্লাসে করে বিক্রি করব।' দিপালী রায় বলে এক মহিলা জানান, 'আমরা তো ঘরের কাজকর্মই করি, এই আবীর যদি আমরা বা ঘরে বসেই বানাতে পারি এবং সেটা বাজারজাত করা হয় তাহলে সেখান থেকে আমাদের দুটো পয়সা রোজগার হবে এবং আমরা স্বনির্ভর হয়ে উঠব।'
অনির্বাণ রায়