শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার শিবনগর কলোনি এলাকার ঘটনা। তপন বর্মনের বাড়িতে পরপর হানা দেয় হাতি। রাত ২ টো নাগাদ হাতিটি ওই এলাকায় ঢোকে। খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে যান বনকর্মীরা।
সাতদিন আগেও তপন বর্মনের বাড়িতে হাতি এসেছিল। স্থানীয়দের অনুমান ওই একই হাতি দ্বিতীয়বার হানা দিয়েছে। যে পথে হাতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে, সেই পথের উপর বন দফতরের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে বারবার কেন হাতিটি লোকালয়ে চলে আসছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বনকর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, খাবারের টানেই হাতিটি বারবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে আসছে। এই প্রসঙ্গে বন দফতরের বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের এডিএফও মঞ্জুলা তিরকি বলেন, "প্রতি রাতেই আমাদের নজরদারি চলে। কিন্তু কুয়াশা এত বেশি থাকছে যে রাস্তায় ২০ মিটার দূরেও ঠিকমত দেখা যায় না। আর তাই হাতির উপর নজরদারি চালাতে সমস্যা হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: গাছে গাছে কমলালেবু! বরা মাংওয়ার অরেঞ্জ ভিলা যেন স্বর্গের বাগান! এই শীতে যাবেন কী ভাবে?
আতঙ্কিত বাড়ির মালিক তপন বর্মন বলেন, "বাড়িতে পরপর দু'বার হাতির হানায় আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে দেখছি।" বন দফতরের বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের সারুগারা এবং ডাবগ্রাম রেঞ্জ এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে একটি দাঁতাল ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাতে কোনও বিপদ না ঘটে তাই বন দফতরের তরফে রাতে টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিবনগর কলোনির তপন বর্মনের বাড়িতে হাতিটি ভাঙচুর করে খাবার খেয়ে চলে যায়। এরপর ডাবগ্রাম রেঞ্জের ঘোগোমালি চয়নপাড়া এলাকায় হাজির হয় গজরাজ। কোনরকমে বনকর্মীরা হাতেটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠান। ফের রাত ২ টো নাগাদ ইস্টার্ন বাইপাস পেরিয়ে শিবনগর কলোনিতে ঢুকে পড়ে হাতিটি। যে বাড়িতে আগে হানা দিয়েছিল ঠিক সেই বাড়িতেই আবার যায় হাতিটি। যে ঘরে চাল রাখা ছিল সেই ঘরের টিনের ছাদ ভেঙে শুঁড় দিয়ে চালের বস্তা তুলে খেয়ে চলে যায় । হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা।
অনির্বাণ রায়