TRENDING:

Siliguri News: কেউ শিক্ষক, কেউ ড্রাইভার, কেউ কৃষক! কিন্তু পুজোর ক'দিন পেশা অন্য, কেন?

Last Updated:

মন খারাপকে সঙ্গী করে লক্ষীলাভের আশায় পুজোর ক'টা দিন লাগাতার ঢাকের বোল তুলতে ব্যস্ত থাকেন। পুজোর শেষে একগাল হাসি নিয়ে বাড়ি ফেরার পালা। এদের পরিচয় 'ঢাকি'।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলিগুড়ি: কেউ পেশাগতভাবে শিক্ষক, কেউ আবার গাড়ি চালক। অনেকেই আবার বছর কৃষিকাজেই ব্যস্ত থাকেন৷ তবে পুজোর ক’টা দিন অন্য পেশায় জুড়ে যান সকলেই।
advertisement

সেই সুবাদেই পুজোর ক’টা দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে না বললেই চলে। মন খারাপকে সঙ্গী করে লক্ষীলাভের আশায় পুজোর ক’টা দিন লাগাতার ঢাকের বোল তুলতে ব্যস্ত থাকেন।

পুজোর শেষে একগাল হাসি নিয়ে বাড়ি ফেরার পালা। এঁদের পরিচয় ‘ঢাকি’। মালদা জেলার বাসিন্দা সনাতন রবি দাস দশ বছর বয়স থেকেই বাবার হাত ধরে শিলিগুড়িতে আসেন। ঢাকি সনাতন রবি দাস পেশায় একজন শিক্ষক। স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তবে পুজোর ক’টা দিন তিনি ঢাক কাঁধে বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েন তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন: আফ্রিকার ভুভুজেলা তৈরি হচ্ছে শিলিগুড়িতে! এই বাঁশির সুরে মজেছে বাঙালি

View More

পুজোর ক’টা দিন পরিবার ছেড়ে শিলিগুড়ির বিভিন্ন মণ্ডপে, মন্দিরে দিন কাটে তাঁর। ঢাকের তালে সকলকে নাচিয়ে শেষে জোটে কিছু টাকা। এভাবেই চলছে তাঁর জীবন। কিন্তু হাইটেক যুগে তাদের কদরও অনেকটা কমে আসছে। যদিও অসম লাড়াই চালিয়ে যেতে পিছু-পা নন ঢাকিরা।

advertisement

এবছর দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে বহু ঢাকি পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সনাতন এসেছিলেন শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন চত্বরে। পঞ্চমীর সকাল থেকে একে বায়না পেয়ে তিনি পাড়ি দেন কোনও বারোয়ারি পুজো মন্ডপ কিংবা মন্দিরে।

সেখানেই ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী শেষে দশমীতে মা’কে বিদায় জানিয়ে একাদশীতে এবার বাড়ি ফেরার পালা। সনাতনের সঙ্গে তাই সকলেই সকাল থেকে ভিড় জমাতে শুরু করেন শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে। সেখান থেকেই তাঁরা বাড়ির পথে রওনা হন একযোগে।

advertisement

সনাতন রবি দাস বলেন, ‘খুব ছোট বেলায় বাবার সঙ্গে ছোট বেলায় আসতাম ঘণ্টা বাজাতে। তারপর ঢাকে কাঠি। এখন নিজেই চলে আসি। বছরের অন্যান্য সময় স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানোর কাজ চলে।’

অপর এক ঢাকি রিন্টু রবি দাস জানান, ‘পুজোর ক’টা দিন মন খারাপ ছিল। কিন্তু এখন মন ভাল। কারণ, এই ক’দিন ঢাক বাজিয়ে কিছুটা হলেও অর্থ উপার্জন হয়েছে। এখন আবার কালি পুজোর অপেক্ষা।”

advertisement

অনির্বাণ রায়

বাংলা খবর/ খবর/শিলিগুড়ি/
Siliguri News: কেউ শিক্ষক, কেউ ড্রাইভার, কেউ কৃষক! কিন্তু পুজোর ক'দিন পেশা অন্য, কেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল