বাংলায় ষোড়শ শতকের শেষের দিকে বা ১৭শ শতাব্দীর প্রথম দিকে শরৎকালে দেবী দুর্গার পূজোশুরু হয়। জমিদার পরিবারের জন্য আড়ম্বর ও গৌরব ক্রমশ বড় হতে থাকে। দেবী দুর্গা এবং তার পুত্র-কন্যাদের - যথা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিগুলির জন্য দুর্দান্ত সজ্জা তৈরি করা শুরু হয়েছিল । সময়ের সঙ্গে ধনী জমিদার পরিবারের পুজোগুলি জমকালো হয়ে ওঠে এবং প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হতে থাকে, আরও অর্থ ব্যয় হয়। এই ক্রমবর্ধমান আভিজাত্যের ফলে অন্য ধরনের অলঙ্করণ, ডাকের সাজের প্রবর্তন হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ক্ষমতা থাকলে ওই বিষয়ে হলফনামা দিন দেখি', বিকাশকে বেনজির আক্রমণ মমতার!
গত দুবছর করোনা কালের জন্য এর চাহিদা কিছুটা কম হলেও তার থেকেও বড় সমস্যা হয়ে গেছিল কর্মচারী খুঁজে পাওয়া।ফলে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। তবে এ বছর তাদের সামগ্রী নানান জায়গায় যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ মালাকার পরিবারের কাজের সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে সমস্ত জায়গা জুড়েই বলে জানান শিল্পী সুদীপন মালাকার।
আরও পড়ুন: গোড়ায় গলদ, ২০১১ থেকে প্রাথমিকের সব চাকরি খতিয়ে দেখবে ইডি! তোলপাড় বাংলা
অন্যদিকে, বাচ্চু মালাকার জানান পৈত্রিক ব্যবসা বজায় রাখার কারণে তারা আজও ডাকের সাজের কাজ করে আসছে । তিনিও জানান তার বাবা বাংলাদেশ থেকে এই কাজ শুরু করেছিল এবং তাঁরাও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন। সবাই এই শিল্পী হতে পারে না । পিতার হাত ধরে কাজ শেখা তার এবং আগামী প্রজন্মকেও সেই কাজ শিখিয়ে দেওয়াই তার লক্ষ্য ।
অনির্বাণ রায়