ডিআরআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মূল্য কোটি টাকার বেশি। এই সোনা দুবাই থেকে এসেছিল। তা উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে পাচার হওয়ার কথা ছিল। এই ঘটনায় ধৃত মুরিলাল সোনির বাড়ি রাজস্থানে। অপর দুই ধৃত সোনপাল সাইনি এবং শ্রী বৈজুর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরায়।
আরও পড়ুন: আগুন লাগতেই ফাটতে শুরু করল একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার! গভীর রাতে গোঘাটে আতঙ্ক
advertisement
জানা গিয়েছে, সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরা বিমানবন্দরের কাছে এয়ারপোর্ট মোড়ে অভিযান চালায় ডিআরআই। তারা একটি চারচাকার গাড়ি আটক করে। তল্লাশিতে গাড়ির ভেতরে একটি লুকোনো চেম্বার পাওয়া যায়। সেই চেম্বার খুলতেই সেখান থেকে ২৩ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। প্রতিটি সোনার বিস্কুটের ওজন ১৬৬ গ্রাম করে। যার মোট ওজন ২ কেজি ৬৬৮ গ্রাম। এই সোনার বাজারমূল্য ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার বেশি। উদ্ধার হওয়া এই সোনার বিস্কুটের কোনও বৈধ নথি ছিল না। এরপরই তিন জনকে গ্রেফতার করে ডিআরআই।
দুবাইয়ের সোনা উদ্ধারের এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিটির আইনজীবী ত্রিদিব সাহা জানান, ধৃতরা শিলিগুড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজকুমার আগরওয়ালের কাছ থেকে বিদেশি সোনা কেনার জন্য একটি চুক্তি করে। ঐ ব্যক্তিকে এর জন্য কিছু টাকাও দেয় তারা। এরপর সোনা নেওয়ার জন্য বৃন্দাবন থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছয়। সোনা নিয়ে বৃন্দাবন যাওয়ার আগেই ডিআরআই-র দল তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত তিন জনের বয়ানের ভিত্তিতে রাজকুমার আগরওয়ালের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ২৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তবে রাজকুমার আগরওয়াল পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই।
অনির্বাণ রায়