তিনি জানান, “এটা সত্যিই একটি নজির বটে। এতদিন পর্যন্ত দৃষ্টিহীনদের জন্য একটি অজানা জায়গা ছিল এই সংগ্রহশালা। তবে এই ব্রেইল পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এখন তারাও অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শণ সম্পর্কে জানতে পারবে।”
আরও পড়ুনঃ শহরের সৌন্দর্যায়ন বাড়াতে ভুগর্ভস্থ বিদ্যুৎ পরিষেবার উদ্যোগ শিলিগুড়ি পুরসভার
প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ইতিহাস বিভাগের দুটি ঘর দিয়ে শিলিগুড়ির এই মিউজিয়ামের যাত্রা সূচনা হয়েছিল। তখন শুধু ছাত্র-ছাত্রী এবং গবেষকদের জন্যই এর দরজা খোলা ছিল। ২০০৬ সাল থেকে এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে এতদিন সাধারণ মানুষরা এলেও দৃষ্টিহীনদের সেই সুযোগ ছিল না।
advertisement
এই ব্রেইল চালু হওয়ার পর দৃষ্টিহীনদের একটা বিরাট দরজা খোলা হলো বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ির এই সংগ্রহশালায় বহু মূল্যবান ঐসিহাসিক নির্দশন রয়েছে। উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে প্রাচীনেযুগের অনেক সামগ্রীও এখানে রয়েছে। গবেষণার কাজে যার গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও পড়ুনঃ শুধু এনডিএ ইন্ডিয়া নয়, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশনও
ব্রেইল চালু হওয়ায় দৃষ্টিহীনরা নিজেরাই সেই ইতিজাসকে জানতে ও বুঝতে পারবেন। মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধায়ক ডঃ মলয় সাহা জানিয়েছেন, “এতদিন পর্যন্ত দৃষ্টিহীনদের কাছে এই মিউজিয়াম বঞ্চিত ছিল। তারা এই প্রাচীন ইতিহাসের অনুভব করতে পারত না। তাই তাদের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই এই ব্রেইল পদ্ধতিতে মিউজিয়াম দর্শনের নামও আমরা অনুভব দিয়েছি।”
শিলিগুড়ি খবর | Siliguri News
আরও পড়ুনঃ পুজোতে এবার প্রচুর দাম বাড়বে! দুর্গা ‘বানাতেই’ নাভিশ্বাস উঠছে, কী হবে অক্টোবরে?
তিনি আরও জানান, শিলিগুড়ির মিউজিয়ামে ১২০০ থেকে বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী এবং উপাদান রয়েছে। এখন সেগুলি সঙ্গে অবগত হতে পারবেন এই দৃষ্টিহীনরা। এদিন প্রেরণা ফাউন্ডেশনস্কুল থেকেও দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রী তথা শিক্ষক-শিক্ষিকারাও মিউজিয়াম পরিদর্শন করতে আসেন।
সেখানকার একজন ছাত্রী সুজা রায় বলেন, “প্রাচীন ইতিহাস কে হাতে ছুঁয়ে দেখতে সত্যিই আমাদের খুব ভাল লাগছে। আমরা এখানে আসতে পেরে খুব খুশি হয়েছি।”
অনির্বাণ রায়