আরও পড়ুন: প্লাস্টিক-ফাইবারের ধাক্কায় বেতের তৈরি জিনিসের চাহিদা 'শেষ'
ছেলের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই গয়না, এমনকি বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে ঈশানের মা-বাবাকে। শিলিগুড়ির পোড়াঝাড় এলাকার রাধাকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা ঈশান। সে কিছুদিন আগে পর্যন্ত স্কুলে যেত, বাকি ছেলেমেয়েদের মত খেলাধুলোও করত। কিন্তু এক বছর আগে হঠাৎই তার কথা বন্ধ হয়ে যায়। আর নড়তে চড়তেও পারে না। ফলে বর্তমানে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ছোট্ট ঈশান। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে এই এক বছরে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় কোনও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে গিয়ে কিছুটা হলেও ফল পাওয়া গিয়েছে। অল্প হলেও ঈশানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। এই অবস্থায় হরিদ্বারে নিয়ে গিয়ে ভাল করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করলে ফল মিলতে পারে বলে মনে করছে পরিবার। কিন্তু অর্থ আসবে কোথা থেকে।
advertisement
ঈশানের মা অলকা ভট্টাচার্য কান্না ভেজা গলায় শিলিগুড়িবাসীর কাছে অনুরোধ করেন, আমাদের একটিমাত্র সন্তান। কী করে এরকম রোগ হয়ে গেল তা বুঝতে পারছি না। তার চিকিৎসার জন্য বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়েছি, তবুও কিছু সুরাহা হচ্ছে না। সকল শহরবাসী যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে আমার এই ছোট্ট ছেলেটা সুস্থ হয়ে উঠবে, আবার আগের মত স্কুল যেতে পারবে।
কোনও সহৃদয় ব্যক্তি যদি ঈশান ভট্টাচার্যের চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন ৭৯০৮৪৯৮৭২৮/৯৭৪৯৩১৯৫৫০ - এই নম্বরে।
অনির্বাণ রায়