দীর্ঘদিন ধরে শিলিগুড়ির এই সীমান্ত দিয়ে ভারতীয়রা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারলেও নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হত না। বিষয়টি নিয়ে ওপার বাংলার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। তাছাড়া এই ভিসা বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতিরিক্ত ভিড় উপচে পড়ছিল চ্যাংরাবান্ধা ও বেনাপোলের মত স্থল বন্দরগুলিতে। দীর্ঘ ১৩ মাস দুই দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা চলার পর এই সমস্যার সমাধান মিলল। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে খবর, মে মাস থেকেই ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসার ভিসা দেওয়া হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থর আপ্ত সহায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা! ফের মিলবে তাক লাগানো কিছু? তুমুল শোরগোল
প্রসঙ্গত, করোনার সময় ফুলবাড়ি–বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণ কমে গেলে অন্য স্থলবন্দরগুলোর মত এই বন্দর দিয়েও যাত্রী পারাপার চালু হয়। কিন্তু ২০২২ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেওয়া ভিসায় ভারতীয় হাইকমিশন এই অভিবাসন কেন্দ্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল।
এরপর থেকেই বাংলাদেশিরা এই রুটে পর্যটন ভিসা পাচ্ছিলেন না। মূলত নেপাল, ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ব্যবসা, পর্যটন, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের কাছে ফুলবাড়ি–বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু সেখান দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসায় খুশি সকলে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত সহকারি ভারতীয় হাইকমিশনার মনোজ কুমার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন ও সেই সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বৈঠকও করেন। তিনি জানান, এতদিন বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই পথে সীমিত পরিমাণে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে সাধারণ ও পর্যটন ভিসা ইস্যু করা হবে। ভারতীয় দূতাবাসের এই সিদ্ধান্তে খুশি বাংলাদেশের মানুষ।
অনির্বাণ রায়