শিলিগুড়ি শহরে লাগোয়া আমবাড়ির করতোয়া নদীতে এই অষ্টমী তিথির স্নান অত্যন্ত পুণ্য বলে পরিচিত। এখানে একবার ডুব দেওয়ার জন্য বহু দূর দূরান্ত থেকেও মানুষ আসে। ৫৩ বছর আগে করতোয়া নদীর তীরে একটি গঙ্গা মন্দির স্থাপিত হয়। তারপর থেকেই নদীর এই ঘাটে চৈত্রের শুক্লাষ্টমীর স্নান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: হাতে গোলাপ ধরিয়ে সিগারেট, গুটকা বিক্রি করতে বারণ ছাত্রীর! দুর্গাপুরে অবাক কাণ্ড
advertisement
হিন্দু ধর্মের বহু মানুষ বিশ্বাস করেন এই সময় করতোয়া নদীতে স্নান করলে সব পাপ ধুয়ে যায়। এদিন নদীর জল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি পাপমোচন হয়। গঙ্গা মন্দির কমিটির সদস্য বাবলু রায় বলেন, ৫৩ বছর আগে পূর্বপুরুষেরা এই মন্দির তৈরি করেছিলেন। তারপর থেকেই বাসন্তী পুজার অষ্টমী তিথিতে পূর্ণ্যার্থীরা এই করতোয়া নদীতে স্নান করতে আসেন। বিগত দু'বছর করোনার কারণে তেমন লোক হয়নি। তবে এই বছর আবার বহু পুণ্যার্থী অষ্টমীর স্নানে যোগ দিতে এসেছেন। পুরোহিত জগদীশ অধিকারী বলেন, মনে করা হয় এই অষ্টমী তিথিতে করতোয়া নদীর উপর দিয়ে গঙ্গা প্রবাহিত হন। তাই মানুষ পুণ্য লাভের আশায় স্নান করতে ছুটে আসেন। বিশ্বাস করে এই দিন নদীতে ডুব দিলে জীবনে করা যাবতীয় পাপ গঙ্গার জলে ধুয়ে যাবে।
অনির্বাণ রায়