তার কাছে বাংলার গর্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলিউডের শাহরুখ থেকে শুরু করে কুমার শানুরা, সকলের মুখেই জয় জয়কার মমতা ব্যানার্জীর। আর সেই মমতা বলতেই পাগল শিলিগুড়ির আনসুর। তাঁর বাড়িতে মমতার ছবি ছাড়া আর কোনো ছবিই নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সংগ্রহ করেন আনসার রহমান। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার ছবি তিনি সংগ্রহ করেছেন। আর গত ৪ বছরে তিনি প্রায় ২হাজারের কাছাকাছি ছবি সংগ্রহ করেছেন। আনসার শুধু যে ছবি সংগ্রহ করেই থেমে থেকেছেন তা কিন্তু নয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নতুনরূপে সাজছে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম
তিনি একজন মাইক্রো আর্টিস্ট হওয়ার সুবাদে বাড়িতে বসে ছবিও আঁকেন। যেখানে সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায় মমতা ব্যানার্জীর ছবি। ছাত্র রাজনীতিতে বামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি, তখন থাকতেন কলকাতায়। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকে দেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সেটা ১৯৮৪ সালের কথা। তারপর থেকে আজকের দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধভক্ত চিত্রশিল্পী আনসার রহমান। মমতার বিভিন্ন লড়াই ও আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন সময়ের ছবি। আনসুর শিলিগুড়ির শান্তিনগরে চলে এসেছিলেন ১৯৯০ সালে। ছেড়েছেন রাজনীতিও। তখন থেকেই মমতার ছবি সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার বার্তা পরিবহণ মন্ত্রীর
সংখ্যায় এখন তা ১২ হাজারের কাছাকাছি হবে। নিজের আঁকা মমতার ছবিতেও সাজিয়েছেন ঘর। স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে তিনজনের সংসার আনসারের। আগে ছাপাখানার একজন কর্মী ছিলেন তিনি। বর্তমানে সেই পেশা থেকেও বিরতি নিয়েছেন। তার ছেলের ওপরেই সংসারের যাবতীয় ভার। তার স্ত্রী জানান,আনসার মমতা বলতে পাগল। সকালে যদি তিনি বাজার করতে বের হন। তাহলে বেশিরভাগ সময়ই বাজারের বদলে, ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
সবজি, মাছ-মাংসের পরিবর্তে তিনি নেমে পড়েন মমতার ছবি জোগাড় করতে। সেজন্য তাঁর স্ত্রী তার নাম দিয়েছেন “কুড়ানি”। সংগ্রহ করা ছবি দিয়ে একটি সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম বানানোর ইচ্ছে এই চিত্রশিল্পীর। অর্থনৈতিক সাহায্য পেতে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সাথে দেখাও করেছেন তিনি। আনসার জানান মুখ্যমন্ত্রী তাকে দেখা করতে বলেছিলেন। কিন্তু সুযোগ করে তিনি কলকাতা গিয়ে উঠতে পারছেন না। তার আশা পুজোর আগে একবার কলকাতা যাবেন দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে।
Anirban Roy