মোট ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ এটি। পাহাড়ে টানেল কেটে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত যাবে। মোট ১৪টি টানেল তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ১১ নম্বর টানেল যার দৈর্ঘ্য ৩.২ কিলোমিটার। রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, এটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে লম্বা টানেল। সোমবার সেই টানেলের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ব্রেকথ্রু করেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং। উপস্থিত ছিলেন এবিসিএল প্রজেক্ট ম্যানেজার শ্রী মুকুল জৈন।
advertisement
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর আগে কচিকাঁচাদের বাসন্তী শাড়ি কেনার ধুম শিলিগুড়িতে
২০২৪ সালের শুরুতেই সিকিমে প্রথম রেল যোগাযোগ স্থাপনের এই প্রকল্পের কাজ মিটে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার মুকুল জৈন। প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড়ে ধসের ফলে ক্রমাগত উত্তরবঙ্গের সাথে সিকিমের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে দেশের সবচেয়ে ছোট এই পাহাড়ি রাজ্যটির জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতেই সিকিমে রেল যোগাযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে ভারতীয় রেল। আর তাই পাহাড় কেটে টানেল বানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
ঘটনা হল, পর্যটন নির্ভর সিকিমে সড়ক পথে যাওয়ার সময় ধস নেমে মাঝেমধ্যেই পর্যটকরা বিপদে পড়েন। অনেকে মারাও যান। এই রেলপথ উদ্বোধন হলে সেই বিপদ অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম পর্যায়ে এই রেলপথ সেবক থেকে রংপুর পর্যন্ত যাবে। পরবর্তীতে তা রংপুর থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা আছে রেলের। এই রেলপথ চালু হলে সিকিমের সঙ্গে ট্রেনের মাধ্যমে বাকি দেশের যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
অনির্বাণ রায়