গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে অসংখ্য পাখির বাসা। টিয়া, টুনটুনি, শালিক, বুলবুলি, হাঁড়িচাচা-সহ অসংখ্য পাখি এখন বাসাহীন। এই গৃহহীন পাখিদের জন্যই এবার ঘর বানিয়ে ফেলল শিলিগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'আসরা সেবা ট্রাস্ট'। এটি উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম পাখিরালয়, যেখানে প্রায় ৫০০০ পাখি এসে একসঙ্গে বসবাস করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুষ্ঠ নিয়ে সচেতন করতে আসরে নামছে পড়ুয়ারা
advertisement
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান সুভাষ কুম্ভার নিজেও পাখিপ্রেমী। নিজের বাড়িতেও তিনি পাখিদের থাকার জন্য বাসা বানিয়েছেন। হঠাৎই তাঁর নজরে আসে বাড়িতে পাখির আনাগোনা কমছে। শহরের মাঝে বাড়ি হওয়ায় পাখি কম আসছে। তাই শহরের খানিকটা অদূরে গিয়ে মাটিগাড়া পতিরাম এলাকায় পাখিদের থাকার জন্য কৃত্রিমভাবে বাসা তৈরি করে জীববৈচিত্র্যকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। চড়ুই, টুনটুনি, শালিক, পায়রা সব পাখি মিলে প্রায় পাঁচ হাজার পাখির আনাগোনা এই পাখিরালয়ে। এইভাবে কৃত্রিম বাসা তৈরি করলে জীব বৈচিত্র্যের একটা অংশ বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ প্রেমীরা।
সুভাষবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য সারা পৃথিবীজড়ে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। গাছ কাটা পড়ায় পাখিদের প্রায় দেখাই যায় না। এই পাখিরালয় তৈরি করার একটাই উদ্দেশ্য, পাখিদের বাঁচানো। পাখিদের স্নানাগার, খাওয়া-থাকার জায়গা সমস্তটাই এখানে রয়েছে। প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে তাঁরা এই পাখিরালয় বানিয়েছেন। আগামীতে এক লক্ষ পাখির থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
অনির্বাণ রায়