এ বিষয়ে তিনি বলেন, ” বেগুনকোদরে ভূত দেখাতে পারলে আমরা এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেব। ২০১৭ সালে ২৮ ডিসেম্বর বেগুনকোদর স্টেশনে রাত্রিযাপন করে প্রশাসন ও বিজ্ঞান মঞ্চ প্রমাণ করে দিয়েছে স্টেশনে ভূতের অস্তিত্ব একেবারেই ভিত্তিহীন। বেগুনকোদর এলাকার স্থানীয় মানুষেরাও ভুতের অস্তিত্ব নেই বলেই দাবি করেন।”
আরও পড়ুন: ৬৫ ফুট লম্বা কালী প্রতিমা! শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে উৎসবের মেজাজ মন্দিরবাজারে
advertisement
এ বিষয়ে এলাকারই এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “বেগুনকোদর স্টেশনে ভূতের কোনও অস্তিত্ব নেই। এই স্টেশনের উপর দিয়ে নিত্য যাতায়াত। কখনও কোন অশরীরি অস্তিত্ব পাইনি। ভূতের গল্প চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণেই দীর্ঘদিন এই স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০০৭ সাল থেকে পুনরায় স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে এখানে কর্মরত স্টেশন মাস্টারের রটানো গুজব থেকেই এই স্টেশনটি ভুতুড়ে আখ্যা পেয়েছে। আর এই ভুতুড়ে তকমাকে আরও জোড়ালো করেছে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যম। এ সমস্ত কিছুই একেবারে ভিত্তিহীন।”
আরও পড়ুন: দেবী এখানে পূজিতা হন দুর্গা-কালী দুই রূপেই! প্রাচীন এই মন্দিরে ভিড় জমায় হাজার হাজার ভক্ত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , স্টেশন মাস্টার নিজের পরিবার নিয়ে এই বেগুনকোদর স্টেশনে থাকতেন। তিনি বহুবার স্টেশন থেকে বদলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বদলি না পাওয়ার কারণে পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা পরিকল্পনা করে তিনি ভুতুড়ে গল্প বানিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ধীরে , ধীরে এই স্টেশন ভুতুড়ে স্টেশনের আখ্যা পেয়েছে।
১৯৬০ সালে স্টেশন তৈরি হয়েছিল, স্টেশন মাস্টারের ভুতুড়ে গল্পের কারণে ১৯৬৬ সালে স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ পুরুলিয়া জেলা শাখা এই ভুতুড়ে স্টেশনের তকমা ঘুচিয়ে পুনরায় স্টেশন চালু করার দাবি জানিয়েছিল। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় এই স্টেশন চালু হয়। সেই সময় রেল শর্ত দিয়েছিল শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই এখানে ট্রেন থামবে। তবে বর্তমানে ভুতুড়ে রহস্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রাতেও ট্রেন থামছে। এতকিছুর পরও মানুষের মধ্যে ভূত , ভূত আবহ বজায় রয়েছে। তাইতো প্রযুক্তির এই যুগেও কুসংস্কার এর সঙ্গে বিজ্ঞানের লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি